মোঃ বেল্লাল নাফিজ ॥
ভোলা ভেদুরিয়া-লাহারহাট ঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে স্পীড বোটে ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৫ই মার্চ) সকাল-বিকাল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন (এনটিআরসিএ) এর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন ভোলার প্রার্থীদের পরীক্ষা ছিলো বরিশালে। ফলে ভোলার সকল পরীক্ষার্থীদের ভেদুরিয়া টু লাহারহাট দিয়ে যাতায়াতে ব্যাপক হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। একদিকে যাত্রীদের ভীড় অন্যদিকে নৌযান সংকট দেখিয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করার ঘটনা ঘটেছে। ভেদুরিয়া থেকে লাহারহাট ঘাট পযর্ন্ত স্পিড বোটে জনপ্রতি নিয়মিত ১৫০ টাকা ভাড়া আদায় করলেও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে নিয়ন্ত্রনহীন এই স্পিড বোট মালিক সমিতির বিরুদ্ধে।
একাধিক পরীক্ষার্থী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেকার হিসেবে অর্থনৈতিক সংকটে জীবন যাপন করি। হতাশা আর পাহাড় পরিমাণ মাথায় দুশ্চিন্তার চাপ নিয়ে চাকুরী পরীক্ষা দিতে যাই। যাত্রা পথেও বেকারদের নিয়ে স্পিডবোট মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে মানুষিক চাপের স্বীকার হয়েছি। তারা আরো বলেন, পূর্বের ভাড়া অনুযায়ী বাসা থেকে টাকা নিয়ে বেড় হয়েছি। কিন্তু তাদের সিন্ডিকেটের কারণে তিনগুণ থেকে চারগুণ ভাড়া বেশি নেওয়ায় বিকাশে করে টাকা নিয়ে বাসায় ফিরতে হয়েছে।
এছাড়াও তারা বলেন, যেখানে একটি স্পিট বোটে ১২জন যাত্রী নেওয়ার ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে ১৫ থেকে ১৬জন করে আনা নেওয়া করেছেন। এবং অতিরিক্ত টাকা আদায়ে কৌশলগত নদীর মাঝখানে রাখতেন। কাক্সিক্ষত টাকা না দিলে স্পিট বোট পারে ভিড়াতেন না। ফলে পরীক্ষার্থীদের পরতে হয়েছে সময়ের বিড়ম্বনায়। সকাল সাড়ে ৯টায় পরীক্ষা থাকলেও সঠিক সময়ে বহু পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি তাদের এই সিন্ডিকেটের কারণে। এমন অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় আইনগতভাবে কোন সুযোগ নেই। কেউ অভিযোগ দিলে উপজেলা প্রশাসন তার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়াও ভোলার প্রায় ১০ হাজারেরও অধিক বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থী এই রুটে যাতায়াতে উপজেলা প্রশাসনের কোন সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ ছিলো কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, পরীক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র হয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসছে। সেখানে আমাদের কোন ভূমিকা ছিলোনা।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৮:৪৯ ৯২ বার পঠিত