লালমোহন প্রতিনিধি ॥
ভোলার লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য উপজেলার কালমা ইউনিয়নের আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (৯ মে) কালমা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফুল গাজী রানার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এমন অভিযোগ করে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ছিদ্দিক মিয়া জানান, আমি ২নং কালমা ইউনিয়নের চর ছকিনা গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড ফুল গাজী রানার বাড়ির মৃত: তরজুন আলীর ছেলে। আমি চর ছকিনা মৌজা: তৌজি নং-৩৪, জে.এল নং-১৯, এস.এ খতিয়ান নং- ৫৭০, যাহার নং-৩৯২০ বটে, যেখানে মোট জমির পরিমান ৩০ শতাংশ স¤পত্তি। এই স¤পত্তি আমি দীর্ঘ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসতেছি। হঠাৎ করে আমার প্রতিবেশি সোবহান ফকিরের ছেলে মো. কাদের ও তার স্ত্রী শিরিনা বেগম, মাহমুদুল হকের ছেলে ইকবাল, ছলেমান রানার ছেলে মো. রফিক গাজী, মো. মাহমুদুল হক আমার ৩০ শতাংশ জমি থেকে ৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক ভাবে দখল করে বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করছে। পরে আমি এ জমি সংক্রান্ত বিরোধের সুবিচার পেতে গত ৮-৫-২০২৪খ্রিঃ মোকাম ভোলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এম.আর -৩০৮/২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে বিরোধীয় জমির উপর স্থিতিতাদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। ওই সময় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ঘর উত্তোলন করেন কাদের গংরা।
ভুক্তভোগী মো. সিদ্দিকের অভিযোগ, আদালতের স্থিতিতাদেশ অমান্য করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে জোড় ঝুলুম ও ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে ঘর নির্মাণ করছেন কাদের গংরা।
বৃহ¯পতিবার (৯ মে) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই বিরোধীয় জমিতে বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করছেন অভিযুক্ত কাদের গংরা।
এবিষয়ে অভিযুক্ত কাদের কাছে জানতে চাইলে তার শশুর মো. মাহমুদুল হক বলেন, এ জমি আমার বাবা কিনছে আমাদের ৬ জনের নামে, আমরা অনেক বছর ধরে এ স¤পত্তি খাই। আমরা আমাদের জায়গায় ঘর উত্তোলনের করি, কারো যায়গায় না।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ এনায়েত হোসনে বলেন, আদালতের আদেশের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে অভিযুক্তরা কাজ রেখে পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫২:৫৬ ৪৯ বার পঠিত