তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥
তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনার তীরে বিভিন্ন এলাকায় এখন চলছে গলদা চিংড়ি মাছের রেনু আহরন উপজেলার বিভিন্ন স্থানের আড়ৎদারগণ আহরণকারীদের কাছ থেকে গলদার রেনু ক্রয় করে খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এসব রেনু পোনামাছ চালান করে।
মশারী জাতীয় নেট জাল দিয়ে গুলদার রেনু আহরনের সময়ে নদীর নানান প্রজাতীর ছোট ছোট রেনু এইসব নেট জাল দিয়ে তুলে নেয় আহরণকারীগণ। যার মধ্যে রয়েছে বাইলামাছ,তাপসীমাছ,পোয়ামাছ,চিড়িংমাছ কোরাল মাছ,আউরমাছ, সহ নানান জাতের মাছের রেনু পোনা। আহরণকারীগণ শুধু গোলদার পোনা বেছে রেখে বাকী প্রজাতীর মাছের রেনুগুলো নদীর পানিতে না ফেলে নদীর তীরে উপরে ফেলে দেয়। ফলে অন্য সকল জাতের মাছের পোনা নদীর তীরে মরে দুর্গন্ধ ছড়ায়। সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় নদীর কুচিলা, কাকড়াসহ নদীর নানান জাতের পোকামাকড় ও তাদের জালে উঠে, তারা এগুলোকে নদীতে না ফেলে উপরে ফেলে দেয়, এবং এইসব মাছ জাতীয় প্রাণী মেরে ফেলে পরিবেশ দূষণ করে সাথে সাথে মাছের বংশ ধ্বংস করে।
এভাবে নানান জাতের মাছের পোনা নিধনের বিষয়টি বেআইনি হলেও আড়ৎদার আহরণকারী কেউই এ আইন মানছে না। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মেঘনা নদীতে মাছের বিভিন্ন প্রজাতি রক্ষায় সকল মহলের দ্রুত সতর্ক হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২:০৯:৩২ ২০৮ বার পঠিত