নুরুল আমিন, লালমোহন ॥
লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউপি মেম্বার সেন্টুর বিরুদ্ধে খরিদ জমির বুঝ চাইলে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে ১৩ জুলাই সকাল অনুমান ৮টা ও দুপুরে দুই দফা এ ঘটনা ঘটে। ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহে আলম অভিযোগ করেন, তার চাচাতো ভাই বাশার ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহবুব আলম সেন্টুর পিতা মোবারক হোসেন থেকে ৩২ শতাংশ জমি দলিল মূলে খরিদ করেন। সেন্টু মেম্বার উক্ত জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না। বহুবার জমির দখল বুঝ চেয়ে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তাই ১৩ জুলাই জমি মাপঝোঁক করার জন্য আমিন ও স্থানীয় সালিশ বসাবসির ব্যবস্থা করা হয়। যথাসময়ে সালিশ ও আমিন উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু মাহবুব আলম সেন্টু মেম্বার আসেনি। এজন্য আমি ওনাকে ফোন করেছি। উনি ফোনে আমাকে গালিগালাজ করেছেন এবং হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়েছে। পরে দুপুরের সময় মেম্বার ও তার ছেলে আমাকে মারপিট করতে আসে। লোকজন থাকার কারণে আমি রেহাই পাই। তারা আমাকে হাত-পা ভেঙে দেবে, পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করবে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এতে আমি ভীষণ ভীত হয়ে পড়ি। আমার পরিবার-পরিজন ও আমি আতঙ্কে দিন কাটাই। জমির খরিদদার আ: বাশারের ভাই কবির জানান সেন্টু মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হয়রানি করে আসছে। উনি আমার পিতার নামের বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অনেকবার চাওয়ার পরে দুই হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা এখনো দেননি। আমরা জমির বুঝ চাইলে মেম্বার হুমকি ধামকি দেয়। তারা মেম্বারের এমন আচরণ ও দুর্ব্যবহারের বিচার দাবী করেন। তারা থানায় জিডি করবেন বলে জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহবুব আলম সেন্টু জানান, প্রায় বিশ বছর আগে আমার বাবা এ জমি বিক্রি করেছেন। জরিপ চলাকালে আমার পর্চা থেকে ৩২ শতাংশ জমির রেকর্ড দিয়েছি। জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা জমি দখলে আছেন। সকালে শাহে আলমের সাথে ফোনে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে দুপুরে সামনাসামনি বাগবিত-া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫২:৪৪ ৩৯২ বার পঠিত