স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২জনকে এলোপাথাড়ি মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২০ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ সেলিম, নুরভানু।
আহত মোঃ আলাউদ্দিন জানান, আমরা আমাদের বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করার সময় চুন্নু বয়াতী ও তার পুত্র নয়ন আমার নিকট ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেওয়াতে চুন্নু বয়াতী ও নয়ন আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ আগস্ট বেলা ২টার দিকে তাদের ফার্মের ছাগাল আমাদের বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে আমাদের প্রায় ৬/৭টি ফল গাছের চারা খেয়ে ফেলে। প্রায় দুই হাজার টাকার ক্ষতি করেছে।
মারধরের বিষয় মোঃ মান্নান জানান, ১৯ আগস্ট শুক্রবার আমার পিতা ও আমার ভাই মসজিদে জুমার নামাজ পরতে গিয়ে নামাজ শেষ করে বাহির হয়ে ছাগলে গাছ খাওয়ার বিষয়টি চুন্নু বয়াতী ও নয়নকে জানালে তারা লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাবা ও ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে মোঃ নয়নের হাতে থাকা কাঠের বাঘা দিয়ে আমার বাবার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমার বাবা জ্ঞান হারিয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পরে। তারা আমার বাবা ও ভাইকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করিতে থাকে। এতে আমার বাবার বাম পা ভেঙ্গে যায়। এমনকি আমার ছোট ভাইকেও লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে তার বুকের হাড় ভেঙ্গে যায়।
আমার পিতা ও ভাইয়ের ডাকচিৎকার শুনিয়া আমার মা তাদেরকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে চুন্নু বয়াতী আমার মায়ের কাপড় চোপর ধরে টানাহেচরা করে শ্লীতাহানি চেষ্টা চালায় এবং কিল, ঘুষি দিয়ে তার পরিধেও কাপরচোপর খুলিয়া ফেলে এবং নয়ন আমার মায়ের তলপেটে লাথি মেরে মারাক্তক জখম করে। বর্তমানে তারা ৩জনেই ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছে। বর্তমানে তাহাদের অবস্থা সংকাটাপ্ন। চুন্নু বয়াতী ও তার পুত্র মোঃ নয়ন একদল সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে এবং হাসপাতালে গিয়েও হুমকি দিচ্ছে।
স্থানীয়রা এসে আমার পিতা, মাতা ও ভাইকে তাহাদের হাত থেকে উদ্ধাকর করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে আমিও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত আছি। আমি চুন্নু বয়াতী ও তার পুত্র মোঃ নয়ন সহ ওই সংঘবন্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইন শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতা কামনা করি।
মারধরের বিষয় অভিযুক্ত নয়নগণের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা জানান, এগুলো আমাদের এলাকার বিষয় আমরা বুঝে নিব, এগুলো কোন ব্যাপার নয়, ওরা কি আর করবে টাকা দিয়ে বিষয়টি বুঝে নেব, সমস্যা নাই। দেখি ওরা কি করতে পারে।
মারধরের বিষয় স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনায়েত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মারধরের বিষয় এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ০:০২:৩১ ২৯৫ বার পঠিত