লালমোহন প্রতিনিধি ॥
লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ওরফে কালার ছেলে শিপন একই এলাকার সকুমুদ্দিন হাওলাদার বাড়ীর মোস্তফা হাওলাদারের মেয়ে রিনার সাথে পারিবারিক ভাবে ৬ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়। রিনার ঘরে ৪ বছরের একটি পূত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে রিনার উপর যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় মারধোর ও নির্যাতন করে। ইতিপূর্বে রিনার পরিবার শিপনকে ব্যবসার জন্য টাকা দেওয়া হয়। টাকা পেয়ে শিপন অল্প কিছু দিন স্ত্রীর সাথে ভালো আচরন করে। তারপর পুনরায় রিনার পরিবার থেকে টাকা দাবী করে। রিনার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এই নিয়ে শিপন ক্ষিপ্ত হয়ে রিনাকে ৩য় বারের মত মারপিট করে। শিপন এলাকায় মদ, গাজা বিক্রী করে। সে নিজেও মাদকাসক্ত। রিনার পরিবার এলাকায় বিচার না পেয়ে ভোলা কোর্টে শিপনের বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। শিপন ঐ মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজাতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তার বাবা নুরুল ইসলাম স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদেরকে ধরে তার পূত্রবধূ রিনাকে কোন নির্যাতন করা হবেনা বলে রিনার পরিবারকে ম্যানেজ করে কোর্টে মুছলেকা দিয়ে শিপনকে জামিনে বেড় করে। শিপন জেল থেকে বেড় হওয়ার পর কয়েক মাস রিনার সাথে ভালো আচরন দেখায়। রিনার গর্ভে পুনরায় ২য় সন্তান আসে (রিনা বর্তমানে ৭ মাসের অন্তসত্বা) শিপন আবারও তার পরিবার থেকে যৌতুক দাবী করে স্ত্রী অন্তসত্বার সুযোগে। গত সোমবার রিনার কাছ থেকে নগদ টাকা চায় রিনা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাদকাসক্ত হয়ে রিনাকে দফায় দফায় এলোপাতারী মারধোর করে পেটে লাথি ও গলা চেপে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তাকে মারার পর এলাকার লোকজন ছুটে আসলে কাউকে তার ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয় নাই। রিনাকে ঘরে আটকিয়ে রাখে। রিনার মা ছালেকা বেগম মেয়ে খোজ খবর নিতে গেলে তাকে শিপন মারধোর করে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে রিনার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে শিপনকে জিজ্ঞাসা করলে নিজেই স্বীকার করে আমি আমার স্ত্রীকে মেরেছি। আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। এই ব্যাপারে শিপনের স্ত্রী রিনার কাছে জানতে চাইলে সে জানায় আমাকে দফায় দফায় মেরেছে। আমার কাছ থেকে টাকা চায় এবং বলে তোকে মেরে ফেললে কি হবে। আমাকে ঘর থেকে বেড় হতে দিচ্ছেনা। আমার গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমার পরিবারকে আমার কোন খোজ খবর নিতে দিচ্ছে না। আমি বর্তমানে ৭ মাসের অন্তসত্বা। পরবর্তীতে শিপন ও তার বাবা নুরুল ইসলাম রাত ১০ টায় একটি রিক্সা যোগে লালমোহন বাজারে এনে ঘুরে ফিরে আবার বাড়ীতে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় রিনার ভাই সবুজ সাংবাদিকদেরকে বলেন আমার অন্তসত্বা বোনকে বোনকে চিকিৎসার জন্য আনতে গেলে শিপন ও তার বাবা নুরইসলাম আমাকে মারধোর করে শিপনের মা নুরজাহান বেগম আমার পিঠে একটি কামড় দেয়। বর্তমানে আমার বোনের কোন চিকিৎসা ছাড়াই তারা বাড়ীতে আটকিয়ে রেখেছে। আমি তাকে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে চাইলেও আমাকে দেওয়া হয় নাই। শিপন মাদকাসক্ত আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৬:৩৬ ৩০০ বার পঠিত