লালমোহন প্রতিনিধি ॥
১০ বছর বয়সী শিশু সামিয়া আক্তার। বাবা-মায়ের একমাত্র কন্যাশিশু সে। পড়ালেখা করতো চতুর্থ শ্রেণিতে। তবে আকস্মিক এক দুর্ঘটনায় অকালেই নিভে গেল শিশু সামিয়ার জীবন প্রদীপ।
সে ভোলার লালমোহনের ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের আসলি এলাকার ইলেকট্রিশিয়ান মো. হোসেনের মেয়ে। এছাড়া শিশু সামিয়া আক্তার আসলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
ঐ শিশুর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে নিজ ঘরের খাটের ওপর শুয়েছিল শিশু সামিয়া। এ সময় হঠাৎ করেই উপর থেকে তার মাথায় সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সামিয়া আক্তার। এরপর দ্রুত তাকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিয়াকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা নেয়ার পথে রাতে মারা যায় শিশু সামিয়া আক্তার।
রোববার সকালে তার মরদেহ নিজবাড়ি আসলি নেয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে ঐ শিশুর মরদেহ দাফন করা হয়। শিশু সামিয়াকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ বাবা-মাসহ স্বজনরা। একমাত্র কন্যা হারানোর শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা-বাবা।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঐ শিশুর মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৯:৫৯ ১৮২ বার পঠিত