স্টাফ রিপোর্টার ॥
দুই লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে ছয় মাসের অন্তঃসত্বা ২ সন্তানের জননী রুমা কে ইট দিয়ে আঘাত করে ও পিঠে লাথি মেরে মারাত্মক জখম করেন পাষন্ড স্বামী অরিফ হোসেন। সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ার কারনে এলাকার প্রভাবশালী ও চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে ২২ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী।
তথ্য সূত্রে জানাযায়, লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের মৃত আঃ হাইয়ের ছেলে আরিফ হোসেন (২৭)।পড়া শোনায় কোন একাডেমিক সার্টিফিকেট না থাকলেও আরিফ এই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি। এক সময় চট্টগ্রাম তামাক পাতা শুকানোর কাজে নিয়েজিত থাকা কালীন সেখানে প্রথম বিয়ে করে কিছু দিন পরে স্ত্রী রেখে পালিয়ে আসেন। কাজের সন্ধানে আবার নেয়াখালী গেলে সেখানেও বিয়ে করে কিছু দিন পর চলে আসেন এবং নিজ এলাকার নতুন বাজার আরজু ও শাহনাজ নামের আরো দুইটি বিয়ে করেন বলে স্ত্রী রুমা জানান। এর পর থেকে এলাকায় নানা অপর্কমের সাথে জড়িয়ে পরেন। ২০১৬ইং সালে যমুনা টেলিভিশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি অপরাধ মূলক প্রতিবেদনে লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের কল্লা কাঁটা বাহিনী নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঐ প্রতিবেদনে আরিফকে কল্লা কাঁটা বাহিনীর অন্যতম সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৩ইং সালে ভোলার লালমোহন উপজেলা চরভূতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের মেয়ে রুমা (২২) এর সাথে আরিফ হোসেন এর সাথে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরে মেয়ের সুখের কথা ভেবে আবুল কাশেম প্রায় ৮০ হাজার টাকার আসবাব পত্র দেন জামাই আরিফকে। কিছু দিন পর মটর সাইকেল কিনে দিতে স্ত্রী রুমাকে মারধর শুরু করলে বাধ্য হয়ে ১লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি মটর সাইকেল কিনেদেয় আরিফের শশুর। বিয়ের চার বছরের মধ্য রুমার কোলে দুইটি কন্যা সন্তান হয়।
স্ত্রী রুমা আরো অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের সময় আরিপ প্রতারনা করে পূর্বের চারটি বিয়ের কথা গোপন রেখে তাকে বিয়ে করেন। প্রতিদিন জুয়া খেলে মদ পান করে কারনে অকারনে মারধর করতো। গত ১৪ জুলাই (শুক্রবার) সকালে ৬মাসের অন্তঃসত্বা রুমাকে দুই লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য আরিফ ইট দিয়ে মারধর রক্তাত করে ফেলে রাখেন। এই খবর শুনে রুমার বাবা ও মা এসে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ২২ আগষ্ট (মোঙ্গল বার) ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইবুনাল আদালতে স্বামী সহ ৪ জনকে আসামী করে একটি কমপ্লেইন পিটিশন মামলা দায়ের করেন স্ত্রী।
এ ব্যাপারে লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া জানান, আরিফের শশুর আমার কাছে এসেছে, তাদেরকে আমি বুঝিয়ে বলেছি। আরিফের বহু বিবাহ সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে দুইটি বিয়ে করেছে শুনেছি, তবে ইসলামে ৪টি বিয়ে করা যায় এটা দোষের কিছুনা। বিবাহীত কেউ ছাত্রলীগের পদে থাকতে পারে কিনা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাকির বিশ্বসের কাছে জানতে চাইলে বলেন, গ্রামে ছেলেরা অল্পবয়সেই বিয়ে করে ফেলে। তাই কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম মানা যায়না।এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরিফ বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে আমার কোন বিরোধ নেই এবং যে সকল অভিযো আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সবই মিথ্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৫:০৩ ৩৮০ বার পঠিত