চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
উপজেলার শশীভূষণ থানার চরকলমী ইউনিয়নে চোরের উপদ্রবে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এঘটনায় বুধবার চরকলমী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামবাসী। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, গত ১ মাস যাবত ওই ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে সিদেঁল চোর ও গরুচোরদের তৎপরতা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। চুরি হয়েছে একাধিক বাড়িতে। সম্প্রতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাকসুদুর রহমানের ২টি এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বেল্লাল হাওলাদারের ২টি গরু চুরি হয়।এ বিষয়ে ৫ অক্টোবর শশীভূষণ থানায় জিডি করা হয়। এঘটনায় ১১ অক্টোবর নাংলাপাতা গ্রামের স্বপন ও নুরাবাদ ইউনিয়নের আবুল কালামকে শশীভূষণ থানা পুলিশ আটক করে । আটকের পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গরুর মালিক মাকসুদুর রহমান। কিন্তু পরে পুলিশ অজ্ঞাত কারণে তাদের ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে তারা নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে গরুর মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
গরুর মালিক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবলীগ সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় চরকলমী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগেরে সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, ক্ষতিগ্রস্থ মুছলিম মোল্লা, সেলিম,কবির হাওলাদার, সাজাহান হাওলাদার ও আবুল হোসেনসহ স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন।
শশীভূষণ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন তিনি থানায় ছিলেন না। দায়িত্বে ছিলেন ওসি তদন্ত।
ওসি তদন্ত আবুল হাসান খান জানান, ধৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে চুরির অপরাধ প্রমাণিত হয়নি এবং কেউ মামলা দিতে রাজী হননি। তাই আটক দুই জনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৯:১৩ ৪৫৩ বার পঠিত