স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) মোঃ আব্দুল কুদদূসের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল মাদ্রাসাছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (১৭)। সে ওই উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মোফাজ্জল হকের মেয়ে। সুমাইয়া স্থানীয় হালিমা খাতুন মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেছে। এ সময় কাজী আবুল কাসেমকে আটক করে অর্থদ-ে দ-িত করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে কনের বাড়িতে বিয়ে পড়ানোর সময় এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ আব্দুল কুদদূস জানান, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়নগর গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে মোঃ হোসেনের সঙ্গে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ খবর পেয়ে তিনি উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কনের বাড়িতে হানা দেন। এ সময় তিনি দেখতে পান বিশাল প্যান্ডেল তৈরী করে বিয়ের আয়োজন চলছে। ডেকোরেটর দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো বাড়ি। প্রস্তুত করা হয়েছে বিয়ের মঞ্চ। রান্নার কাজও প্রায় শেষ করা হয়েছে। কাজী বিয়ে পড়াবেন। ঠিক সেই মুহুর্তে ইউএনও বিয়ে বন্ধ করে দেন। কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় তিনি এ বিয়ে বন্ধ করে দেন। শেষ পর্যন্ত ইউএনও’র হস্তক্ষেপে মাদ্রাসাছাত্রীর বাল্যবিয়ে পন্ড হয়ে যায়। বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল সে। এ সময় বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে কাজী হালিমা খাতুন মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কাসেমকে আটক করে অর্থদ- প্রদান করেন বলেও জানান ইউএনও।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৮:০৭ ২৩৮ বার পঠিত