অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে পাউবো’র জমি ॥ নিরব কর্মকর্তারা

প্রচ্ছদ » অপরাধ » অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে পাউবো’র জমি ॥ নিরব কর্মকর্তারা
সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪



---

বিশেষ প্রতিনিধি ॥

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন জমি দখল করে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। দখলকারীরা স্থায়ী ভবন নির্মানের মাধ্যমে জায়গাগুলো দখল করে নিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিরব ভূমিকায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। সচেতনমহল বলছেন, জমি দখলের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানালেও দখলকারীদের বিরুদ্ধে তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নিরব থাকায় একের পর এক দখল হয়েছে এবং হচ্ছে সরকারি জায়গাগুলো। তারা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় বেড়িবাঁধের ঢাল কেটে জলাশয় ভরাট করে পানি উন্নয়ন বোডের মালিকাধীন সরকারি জায়গায় বহুতল ভবণ নির্মান করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, শশীভূষণ থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লোকমান মাতাব্বর ভবনটি নির্মান করছেন। বাধের ঢালও জলাশয় দখলের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্ধারা পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি।

লোকামান মাতাব্বর মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, যে জমিতে তিনি ভবন নির্মান করছেন সে জমির মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয় শুক্কুর নামের জনৈক ব্যাক্তির কাছ থেকে প্রায় ৯শতাংশ জমির দখল খরিদ করে তিনি ভবনটি নির্মান করছেন। কত টাকায় দখল খরিদ করেছেন তা জানাতে রাজি হননি লোকমান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি অন্যের কাছ থেকে কিনে ভবন নির্মাণ করতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে লোকমান মাতাব্বর বলেন, বেড়িবাঁধের ঢালের সব বসত ঘর এবং দোকান পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় করা। সকলে করেছে তাই আমিও করছি।

জানা গেছে, উপজেলার চরমাদ্রাজ, চরকলমী, নীলকমল এবং হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে বেড়িবাঁধের ঢালে প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা দোকান ও স্থায়ী পাকা বহুতল ভবণ নির্মানের অপ-কান্ডে মেতেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানালে মাঝে মধ্যে কাজ বন্ধ করে দিয়ে গেলেও দুই এক ঘন্টা পরই ফের কাজ শুরু করে দেন দখলকারীরা। তখন জানালে অজ্ঞাত কারণে কর্মকর্তারা আর আসেন না। একারণে দিনের পর দিন জমিগুলো দখল হয়েছে এবং হচ্ছে।

দখলকারীরা বছরের পর বছর সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধ দখলে রাখলেও এসব সম্পত্তি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।

পানি উন্নয়ন বোড ডিভিশন-২ চরফ্যাশন কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হাছান মাহমুদকে একাধিক বার ফোন করলেও রিসিভ না করায় এবিষয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলার উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. আল আমীন বলেছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ভবণ নির্মানের অধিকার কারো নেই। কেউ দখল করে থাকলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০:৫৫:০৯   ১০৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


ভাইয়ের প্রতারণার শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী উজ্জলের মানবেতর জীবন
সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোলায় সমাবেশ
ভোলায় পোস্ট অফিসে আইসক্রিমের ব্যবসা
লালমোহনে আবাসনের ঘর জবর দখলের অভিযোগ
ভোলায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ৮৫ মণ মাছ জব্দ
ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না ভোলার বিএমইটি অফিসে॥ প্রতিদিন ঘুষের আয় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা!!
ভোলায় ফিল্মি স্টাইলা অপহরণ ॥ কতিপর উদ্ধার
ফুঁক দিয়েই সব সমস্যার সমাধান করেন ফরিদ!
প্রেমিকের সঙ্গে ‘বিয়ে’ রফাদফায় এসে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ধরা তরুণী, অতঃপর…
ভোলায় যৌতুকের মামলা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিলো স্বামী ॥ শিশু সন্তান নিয়ে দুশ্চিতায় হাফছা



আর্কাইভ