ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে অনিশ্চয়তা

প্রচ্ছদ » জেলা » ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে অনিশ্চয়তা
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪



---

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ভোলার লালমোহন উপজেলার পূর্ব চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার টিনশেড ঘরটি কালবৈশাখী ঝড়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ছুটি শেষে মাদরাসার ক্লাস শুরু হলেও ছয় শতাধিক শিক্ষাথীর পাঠদানে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসাটি ১৯৭৫ সালে একটি দোচালা টিনশেড ঘর নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ সময়ের নির্মাণাধীন টিনশেড ঘরটিতে আজও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। প্রতি বছর শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে টিনশেড ঘরটি মেরামত করা হয়।

বর্তমানে মাদরাসাটিতে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। অজোপাড়া গাঁয়ে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে এই মাদরাসাটি। তবে জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরটিতে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষকরা। ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরাও।

সম্প্রতি লালমোহন উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আকস্মিক কালবৈশাখীর ঝড়ে মাদরাসাটি দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে যায়। ঐ ঝড় চলে যাওয়ার বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও মাদরাসার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নতুন করে নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

পূর্ব চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ঝড়ে মাদরাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি নিজে গিয়ে ঐ মাদরাসার বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেছি। কিভাবে নতুন করে মাদরাসার জন্য টিনশেড ঘর তোলা যায় তার চেষ্টাও করছি।

ঐ মাদরাসার অভিভাবক জসিম উদ্দিন ও জামাল ভূঁইয়া বলেন, ঝড়ে মাদরাসার টিনশেড ঘরটি ভেঙে গেছে। এ জন্য আমাদের সন্তানদের এখন ক্লাসে পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ক্লাসে বসার কোনো স্থান নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদরাসার টিনশেড ঘর নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।

পূর্ব চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা অলিউল্যাহ বলেন, প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এরমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের তা-বে মাদরাসার টিনশেড ঘরটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। শ্রেণি কক্ষের কাঠের বেঞ্জ-টেবিলগুলোও ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এতে করে মাদরাসা খোলার পর কিভাবে পাঠদান শুরু করবো তা নিয়েই চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এই গরমের মধ্যে খোলা আকাশের নিচেই হয়তো পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এ বিষয়ে লালমোহনের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে ঐ মাদরাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জেনেছি। মাদরাসার পক্ষ থেকে সরকারি সহযোগিতার জন্য লিখিত আবেদন পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐ মাদরাসার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার উদ্যোগ নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১:৪৮:২৭   ৯৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


ভোলা জেলা শ্রমিক লীগের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
কাঁচের চুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত বোরহানউদ্দিনের শ্রমিকরা
বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত, তবু লোডশেডিং
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
লালমোহনে তীব্র গরমে মুরগির খামারিদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা
আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন: চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারেফ হোসেন
অটো চেয়ারম্যান হওয়ার দিন শেষ জনগনের ভোট লাগবে: চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইউনুছ
ভোলায় পৃথক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
ভোলায় ডিবির অভিযানে অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, অপহৃতরা উদ্ধার
আজকের ভোলার স্টাফ রিপোর্টার বাবু কান্তিলাল গাঙ্গুলী আর নেই



আর্কাইভ