শাহীন আলম মাকসুদ, লালমোহন ॥
ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল চর কচুয়ার সরকারি আবাসন শাপলার ঘর ও সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার মোঃ শফিক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ করেন শাপলা আবাসনের বাসিন্দা মোঃ জসিম।
জসিম বলেন, শাপলা আবাসনে আমার একটি ঘর রয়েছে। ওই ঘরটি জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ শফিক। অথচ শাপলা আবাসনে শফিকের নামে বরাদ্দকৃত কোনো ঘর নেই। শুধু তাই নয়, আবাসনের আরেকটি ঘর দখল করে পান চাষীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন ওই শফিক।
শফিকের বিরুদ্ধে সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ করে জসিম বলেন, শাপলা আবাসন নির্মাণকালে যেখান থেকে মাটি উত্তোলন করে ভিটা বাঁধা হয়েছিল। ওই স্থানটি আবাসনের বাসিন্দারা পুকুর হিসেবে ব্যবহার করতেন, মাছ চাষ করতেন। কিন্তু সেই পুকুরটি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটছেন শফিক। বাঁধা দিতে গেলে শফিক কর্তৃক হুমকির শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মোঃ জসিম।
তাই শফিকের কবল থেকে সরকারি আবাসন ও বাসিন্দাদের ব্যবহৃত পুকুর উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
আবাসনের ঘর ও জমি জবর দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ শফিক বলেন, আমি একটি ঘরে থাকি, তবে আবাসনের পিছনের জায়গা পানচাষীদের কাছে ভাড়া দেয়ার বিষয়ে কথা হয়েছিল। এছাড়াও আবাসনের পুকুরে ভেকু লাগানোর বিষয়টি স্বীকার করেন মোঃ শফিক।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি জমি, ঘর জবর দখলের সুযোগ নেই, এমনটা কেউ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১:৪৪:১০ ৬১ বার পঠিত