চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার ঢালচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভুট্টু মেম্বারের ছেলে মো: মোক্তারের বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ধর্ষণ করার ফলে শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের সুর্য্যখালী গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর মা বিচার চেয়ে রোববার বিকাল ৫টার সময় চরফ্যাশন ও দক্ষিণ আইচা প্রেস কাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গর্ভবতী কিশোরী লিখিত অভিযোগে জানান, তার মা আমেনা বেগম ২৭ জুন শারিরীকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ২৮ জুন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। রেজি: নং ৯৮৭৫৭/৪৯। এ সময় তাদের দুর সর্ম্পকের আতœীয় ঢালচর ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ভুট্টুর ছেলে মো. মোক্তার (২০) তাদের ট্রলার পাচঁ কপাট নামক এলাকায় মেরামত করার জন্য আসে এবং ঐ বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাতে তাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষক মোক্তার ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬/৭ দিন জোর পুর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা কিশোরীর মা ভোলা থেকে বাড়িতে আসলে সে তার মা’র নিকট ধর্ষনের বিষয়টি অবহিত করার পর মোক্তার ঢালচর চলে যায়। এ সময় ধর্ষিতাকে ভোলা নিয়ে সদর হাসপাতালে গাইনি বিভাগে রেজি: ২০৫১১/৩৫ ভর্তি করে চিকিৎসা করেন। কিশোরীর শারিরীক অবস্থার পরিবর্তন দেখে ৬ আগষ্ট ২০১৭ ডা. শাহীন আরা আহম্মেদ এর নিকট নিয়ে গেলে তিনি কিশোরীর আলট্রাসনোগ্রাম করলে দেখতে পান সে ৫ সপ্তাহ ২দিনের গর্ভবতী। পুর্ব আতœীয়তার জেরধরে ধর্ষিতার পিতা ইউপি সদস্য ভুট্টুর সাথে আলাপ করলে তিনি কিশোরীর গর্ভের বাচ্ছা নষ্ট করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় এতে তারা রাজি না হওয়ার কারনে বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি দিয়ে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে ঢালচর ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাশেমের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই সমাধান করা হবে শুনেছি। ইউপি সদস্য ভুট্টুর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, অভিযোগ ও রির্পোট অনুযায়ী সত্যতা মিললে ভুট্টু দায়ী হবে। তবে ঐ সময় ভুট্টু সে বাড়িতে যায়নি। আমি সেই বাড়িতে থেকে আমার ট্রলারের কাজ সম্পন্ন করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৩:২০ ১২৫১ বার পঠিত