আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥

চরফ্যাশন ও মনপুরার চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি ও লার্নিং শেয়ারিং বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দ্যা সুইডিশ পোস্টকোড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর সহযোগিতায় পার্টনার্স ইন হেলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি) এর বাস্তবায়নে “মিডওয়াইফ পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা” প্রকল্পের মাধ্যমে চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচর ও কুকরি-মুকরি ইউনিয়নসহ মনপুরা উপজেলার একাধিক চরে হাজারো নারীদের সন্তান প্রসবসহ মাতৃত্বকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছিল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিপন কুমার সাহা এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মমিন টুলু। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডাঃ কেএম শফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক তাপস কুমার শীল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপরিচালক ইকবাল হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার নাসরিন নাহার প্রমুখ।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পিএইচডি এর সহকারী পরিচালক আবুল কালম আজাদ ও মূল বিষয় উপস্থাপন করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, এ প্রকল্পটি সরকারী, বেসরকারী ও স্থানীয় সরকারের তত্বাবধানে ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার ২টি ও মনপুরা উপজেলার ২টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত চলমান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চরফ্যাশন উপজেলার কুকরী মুকরী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র ও মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৭ হাজার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে এবং প্রায় পাঁচশত নরমাল ডেলিভারী করানো হয়েছে।

গর্ভবতী মহিলাদের বাচ্চা প্রসবে পিএইচডি পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নরমাল বাচ্চা ডেলিভারি হচ্ছে, গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, যা সরাসরিভাবে চরফ্যাশন ও মনপুরার বিভিন্ন চরাঞ্চলে খুব প্রভাব ফেলেছে।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র দুটির সেবা কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে সরকারী হস্তক্ষেপের কথা অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন। স্থানীয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তি উদ্যোগে এই কেন্দ্রটি পরিচালনা করা সম্ভব কি না তাও বক্তারা জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ, পার্টনার্স ইন হেলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজপলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন সংবাদকর্মিরা।

বাংলাদেশ সময়: ০:৪২:৫৪   ১৪৪ বার পঠিত