
আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
ভোলায় কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা ও কিশোর কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য জীবন দক্ষতা বিষয়ক মাল্টিসেক্টরাল অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোলা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। ভোলা জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোলা জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক তাপস কুমার শীল।
এ সময়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কো অর্ডিনটর ডাঃ মোঃ আরিফ-উর-রহমান, সহকারী পরিচালক (সিসি)ডাঃ অচিন্ত কুমার ঘোষ, চরফ্যাশন উপজেলা পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা রেজাউল হক।
এসময় আলোচনায় অংশ নেয় ভোলা জেলার সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান, ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল কুমার শীল, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইকবাল হোসেন, ভোলা প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শারমিন জাহান শ্যামলী, ইয়ূথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল-২৪ এর ভোলা জেলা প্রতিনিধি আদিল হোসেন তপু প্রমুখ।
এছাড়াও কিশোর-কিশোরীবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষকবৃন্দসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা কিশোর-কিশোরীদের কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমূহে কৈশোর বান্ধব কর্ণার স্থাপন করে সেবাদান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে কিশোর কিশোরীদের কাউন্সিলিংসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে অভিভাবক ও কিশোরীর মধ্যে সমন্বয় দরকার। কিশোরী ও অভিভাবককে সচেতন করতে হবে। যাতে কিশোরীরা তাদের মায়েদের সঙ্গে নিজেদের সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারে। যতদিন পর্যন্ত পরিবারে এই আবহ তৈরি না হবে ততদিন পরিবর্তন করা সহজ হবে না। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক পাঠদানেন উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি উন্নয়ন ও ক্ষমতার নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের সঠিকপ্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১:৪৭:১৬ ৪১৭ বার পঠিত