আল আমিন ॥
ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংসের মাধ্যমে নাস্তিক্যবাদী জাতি গড়ে তোলার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলাম বিমুখ করে নাস্তিক্যবাদী জাতি গঠনে কাজ করা হচ্ছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে এদেশে শিক্ষা ও সংস্কৃৃতির বিরুদ্ধে আগ্রাসন চলছে। মেধাশূণ্য জাতি গঠনের চক্রান্ত চলছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারী) বিকেল ৩টায় ভোলা হাটখোলা মসজিদ চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তরের উদ্যোগে ‘বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন ও ট্রান্সজেন্ডারকে প্রোমোট’ করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা ওবায়েদ বিন মোস্তফা, সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি আবদুল মোমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আদনান, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা শোয়াইব আহমেদ, ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এম হাবিবুর রহমানসহ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আওয়ামী বাকশালীরা এখন ডামি ও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা জবর দখল করে জনগণকে শোষণ করছে। তারা এখন ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য মরিয়া। তিনি তামাশা ও ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।
৯২ ভাগ মুসলমানের শিক্ষা ব্যবস্থায় কারা ট্রান্সজেন্ডার সংযোজন করেছে, তাদের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামিতাকে প্রমোট করছে র্ব্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। সমকামিতার বিরোধিতা করায় আসিফ মাহতাব স্যারকে র্ব্যাক থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি তাকে চাকুরীতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় র্ব্যাকের সকল প্রতিষ্ঠানকে বয়কট করা হবে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সরোয়ার স্যারকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এধরনের আস্ফালন মেনে নেয়া হবে না।
বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে ডিভাইসমুখি করে গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের মেধা ও মননের ধ্বংস করা হচ্ছে। দেশের মেধাবীদেরকে মূল্যায়ন না করায় তারা বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছে। নাসার বিজ্ঞানীদের মধ্যে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী থাকলেও তাদের কোন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, হিজড়া অধিকারের নামে সমকামিতাকে প্রমোট করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দিপুমনি পররাষট্র মন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে ট্রান্সজেন্ডার আমদানি করেন। এরপর তাকে শিক্ষামন্ত্রী করা হলে তা শিক্ষাকারিকুলামে সংযোজন করানো হয়। এখন এটাকে বাস্তবায়ন করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে তাকে তা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এগুলো বন্ধ না করলে দেশের জনগণ তা প্রতিহত করতে বাধ্য হবে।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল হাটখোলা মসজিদ চত্বর থেকে নতুন বাজার গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১:১৭:৩৭ ১৭৪ বার পঠিত