আল আমিন ॥
১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তর শাখার আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে (বুধবার) ১লা মে সকালে শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম মোরশেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় (বরিশাল বিভাগীয়) সাংগঠনিক সম্পাদক এম ওবায়দুর রহমান বিন মোস্তফা, ইসলামী আন্দোলনের ছাত্র যুব বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, শ্রমিক নেতা জহুরুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, অটো মোটর বাইক শ্রমিক নেতা শফিকুল ইসলাম, নির্মাণ শ্রমিক নেতা আবুল কালাম কন্টাক্টার, যুবনেতা শোয়াইব আহমেদ, জেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আবু জাফর, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলী, মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, শ্রমিক স্বার্থ ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে ইসলামী শ্রমনীতি প্রনয়নের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮০ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। সেখানে মানুষের শোষণ সবচেয়ে বেশি। এ সময় সব ক্ষেত্রে শ্রমজীবী মানুষের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, সারাদেশে সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি কলকারখানাসহ শহর-গ্রামের মজুরদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ, বিনামূল্যে চিকিৎসা বাসস্থান ও সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রণয়নের দাবিও জানান।
‘শ্রমিক স্বার্থ ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে
ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই।
-ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ’
বক্তারা বলেন, শ্রমিক স্বার্থ ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়ন করতে হবে। যে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় দেশ চলছে তাতে দিন দিন শ্রমজীবী মানুষের উপরে শোষণ-নির্যাতন বেড়েই চলছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই অথচ ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে এবং কাজের ক্ষেত্রে নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
সমাবেশে মধুখালির ঘটনায় জড়িত উগ্রবাদি হিন্দু সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়। সেইসাথে শহিদ পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫২:১২ ২৩০ বার পঠিত