জ্বালানি সংকটে আশার আলো ইলিশা গ্যাসক্ষেত্র

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » জ্বালানি সংকটে আশার আলো ইলিশা গ্যাসক্ষেত্র
সোমবার, ৫ জুন ২০২৩



---

 

: আর কে চৌধুরী :

 

বাংলাদেশ যখন জ্বালানি সংকটে হিমশিম খাচ্ছে- ঠিক সে মুহূর্তে দেশের দ্বীপজেলা ভোলায় জ্বলে উঠেছে আশার আলো। ভোলার ইলিশা-১ কূপটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ গ্যাসক্ষেত্রে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে।

মজুত গ্যাসের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। আমদানিকৃত এলএনজির দাম বিবেচনায় ২৬ হাজার কোটি টাকার। ভোলায় সব মিলিয়ে প্রায় তিন টিসিএফ গ্যাস মজুত আছে বলে অনুমান করা হয়। প্রায় ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এই গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এই মুহূর্তে সরকারের হাতে একটি প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে। আরও একটি আনার কাজ শুরু হয়েছে। দু-তিন বছরের মধ্যে পাইপলাইনে দেয়া সম্ভব হবে ভোলার গ্যাস। ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে একটি পাইপলাইন। এজন্য সমীক্ষার কাজ চলছে।

জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার তেল গ্যাস উত্তোলনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে টগবী-১, ভোলা নর্থ-২ ও ইলিশা-২ কূপ খনন করা হয়। এতে প্রতিটি কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে। তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের নয়টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থের দুটি ও সবশেষ ইলিশা ক্ষেত্রের ইলিশা-১ কূপ।

ভোলায় আগে দুটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ইলিশা নিয়ে এখন গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা দাঁড়াল তিনে। শাহবাজপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা- ভোলার এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে এখন ২ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন (২ লাখ ২৩ হাজার কোটি) ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। এগুলো থেকে দৈনিক ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থের দুটি ও সর্বশেষ ইলিশা ক্ষেত্রের ইলিশা-১ কূপ।

সিলেটের পর ভোলাই একমাত্র জেলা যেখানে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। ভোলা থেকে প্রায় ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। সেখানে আমাদের একটি প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে। আরো একটি আনার কাজ শুরু হয়েছে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভোলার গ্যাস পাইপলাইনে দেয়া সম্ভব হবে। ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে একটি পাইপলাইন। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। এছাড়া সিএনজি আকারে গ্যাস এনে তিতাস গ্যাস কো¤পানির এলাকার শিল্প কারখানাগুলোতে সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশের স্থলভাগে নতুন করে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। জ্বালানি সংকট থেকে রেহাই পেতে দেশের সমুদ্রসীমায় তেল গ্যাস অনুসন্ধানে নজর দিতে হবে। সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সামর্থ্যরে অভাব থাকায় এ বিষয়ে বহুজাতিক কো¤পানিগুলোর সঙ্গে দর কষাকষির মাধ্যমে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

[লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক]

 

বাংলাদেশ সময়: ১৪:১২:৫৪   ১৪৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় বাগদার রেণু শিকারের মহোৎসব
ভোলায় লাজফার্মা মডেল ফার্মেসির উদ্বোধন
ভোলা মহাজনপট্টিতে স্বপ্ন আউটলেটের শাখা উদ্বোধন
লালমোহনে ১২৬ কোটি টাকার বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা
ভোলার গ্যাস উৎপাদন: কূপ খননে আরও চড়া দাম চায় গাজপ্রম
ভোলায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই
নদীতে মিলছে না কাংখিত ইলিশ, হতাশ জেলেরা
কাঁচের চুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত বোরহানউদ্দিনের শ্রমিকরা
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
লালমোহনে তীব্র গরমে মুরগির খামারিদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা



আর্কাইভ