: নাসীমুল বারী :
উপন্যাস কী? সহজ কথায় গল্প। আমাদের চার পাশে কত ঘটনাই ঘটছে। কোনোটা মজাদার, কোনোটা আনন্দ-কৌতুকে ভরা। কোনোটা ভয়ঙ্কর। কোনোটা মনের অনুভবকে নাড়া দেয়। সে নাড়া আনন্দেরও হয়, কষ্টেরও হয়। কোনোটা আবার অনেক কিছু ভাবতে শেখায়। এসব কখনো নিজেদের মধ্যে ঘটে। কখনো আমাদের আশপাশের মানুষের মধ্যে ঘটে। কখনো আমাদের পরিবার-সমাজের মধ্যে ঘটে। কখনো শুধু কল্পনায় এমন ঘটনার জন্ম দিই।
এ ঘটনাগুলোই যখন সাহিত্যে ভাষায় নিজস্ব ভাবনায় সাজিয়ে সুন্দর গল্পে আমাদের জানানো হয়; সেটিই উপন্যাস। উপন্যাস মানেই হলো বড়ো ঘটনায় বিস্তৃত গল্প। এসব গল্পে আবার থাকে মূল কাহিনীর সাথে ঘটনার ধারাবাহিকতায় ঘটে যাওয়া উপ-কাহিনী।
এই যে উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য গিয়ে ‘বড়ো ঘটনায় বিস্তৃত গল্প’ প্রসঙ্গে বললাম। এই ‘বড়ো ঘটনায় বিস্তৃত গল্প’কে উপন্যাস গঠনের ভাষায় বলা হয় ‘প্লট বা আখ্যানভাগ’। ‘নিজস্ব ভাবনায় সাজানো’ মানেই লেখকের একটা মনোদর্শন থাকে তাতে। মূল কাহিনী এবং পর¤পরা উপ-কাহিনীর সমন্বয়ে গড়া বিস্তৃত সাহিত্য উপাদানের ধারাবাহিক কাহিনীসমগ্রই হলো প্লট বা আখ্যানভাগ। এই প্লটই উপন্যাসের মূল কাঠামো।
ব্যাপারটা আরো সহজ করে বলি। ছোট্ট একটি ঘটনার সাহিত্যরূপই কিন্তু উপন্যাস নয়। তেমনটি হলে তা হবে গল্প বা ছোটগল্প। উপন্যাসের বেলায় তিনটি বিষয় থাকতে হবে-
ক. বিস্তৃত ধারাবাহিক প্লট বা আখ্যানভাগ
খ. চরিত্র-পার্শ্বচরিত্র
গ. লেখকের একটা মনোদর্শন
উপরের তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে লেখক তার সাহিত্যিক কথামালাকে গড়ে তুলবেন নিজের সাহিত্যরীতিতে। নিজের লেখ্যরীতিতে। এটাকেই লেখকের স্টাইলও বলে। উপন্যাস লেখার নির্দিষ্ট নিয়ম বা কাঠামো নেই। অর্থাৎ মাত্রা, ছন্দ, পর্ব ইত্যাদি সাহিত্যিক কাঠামো নেই।
কবিতায় ছন্দ থাকে, মাত্রা-পর্ব দিয়ে তাকে বাঁধা হয়। অলঙ্কার দিয়ে সাজানো হয়। কিন্তু উপন্যাস সে দায় থেকে মুক্ত। লেখক এখানে স্বাধীন। কথার গতিশীলতা আর কাহিনী ও ঘটনার বিস্তৃত বিবরণে সময়গত সমন্বয়তাই উপন্যাস লিখার নিয়ম বা রীতি। যেমন, যদি বলি, ‘আগামী মাসে অনুষ্ঠিত ছোটবোনের বিয়ের দাওয়াত দিতে বাতেন এক মাস ধরে বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে।’ এ ঘটনার জন্য বিস্তৃত দৃশ্যকল্প তৈরি করে একটা বড় গল্পাংশও তৈরি হলো।
এবার খেয়াল করা যাক বাক্যটা। এখানে ব্যাকরণের রীতিতে বাক্য গঠনে কোনো ভুল নেই। ভুল হবে না বাক্যের এমন বক্তব্যকে নিয়ে লেখা অংশতেও। কিন্তু তারপরেও ভুল আছে। কোথায়? ভুল আছে কাহিনী আর ঘটনার সময়ে। বর্ণিত ঘটনাটা চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর বা তারও আগের হলে ঠিক ছিল। তখন এমন কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের দাওয়াত দূর-দূরান্তের আত্মীয়ের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেয়া হতো। তখন আরেকটু আধুনিক হলে ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে দাওয়াত দেয়া হতো। কিন্তু এখন? শুধু ফোন করেই যে দাওয়াত দেয়া হয়; এমন না। অনলাইন ফোনে চেহারা দেখিয়ে সরাসরি কথা বলে দাওয়াত দেয়া যায় ঘরে বসেই ক্ষণিক সময়ে। উপন্যাসে এই সময়কে ধরাটাই হলো একটা মৌলিক দিক। শরৎচন্দ্র শ্রীকান্ত উপন্যাসে রাতের মৃত লাশের যে দৃশ্য তুলে ধরেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন লাশ এখন নদীতে ভাসবে না। যদি ভাসেও এমন লাশ, কোনো মানুষ তা স্পর্শ করার সাথে সাথে আইনে আটকে যাবে। আবার কেন এটা ভেসে এলো; সে নিয়ে আইন-সমাজ নানা পর্যবেক্ষণ-তদন্ত করবে। অতএব, এখনকার উপন্যাসে শরতের বাবুর মতো লাশ ভেসে বেড়ানো অতি স্বাভাবিক দৃশ্য বা আত্মীয়ের বাড়ি ঘুরে ঘুরে দাওয়াত দেয়ার দৃশ্য আনাটাই সাহিত্যের ভুল। উপন্যাসের ভুল।
তবে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হলে অগ্রবর্তী সময়কে তুমি কল্পনায় ধরতে পারো, লেখতে পারো। ঠিক তেমনি এখন কেউ যদি প্রাচীন প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখে, তাহলে তাকে সে সময়ের পরিবেশ, পরিস্থিতি তুলে ধরতে হবে। অর্থাৎ লেখা এখনকার, ঘটনা অতীতের। সেসব উপন্যাসের দৃশ্যকল্প অতীতেরই হবে। সেখানে বর্তমান দৃশ্য দেয়াও সাহিত্যিক ভুল।
‘খুঁজে পেয়েছি আমাকে’ ভাষা আন্দোলনের উপন্যাস, ২০২০ সালে লেখা। কিন্তু এতে বর্ণিত দৃশ্যাবলী, পরিবেশ, চরিত্র সবই ১৯৪৭-১৯৫২ সালের। এখনকার দৃশ্য-পরিবেশ দিলে এটা আর শুদ্ধ উপন্যাস হবে না।
লেখার গতি
উপন্যাসে লেখার গতি প্রধানত তিন ধরনের হয়।
ক. কাহিনী শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলে। এ ধরনের উপন্যাস পুরো কাহিনী ধীরে ধীরে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মতো করেই সময়, পরিবেশের মিল রেখে সামনের দিকে চলে। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী এই ধারার চমৎকার একটি উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদ এভাবেই লিখেছেন তার উপন্যাগুলো। আমার লেখা কিশোর উপন্যাস ‘বাসা থেকে পালিয়ে’। এটার কাহিনীও শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়েছে।
খ. মধ্যখান থেকে শুরু হয় কাহিনী। তারপর আগাতে আগাতে শুরুর অংশের কাছাকাছি এসে বাঁক নেয়। তারপর সেখান থেকে সামনে এগিয়ে সমাপ্তির দিকে যায়। এ ধারার উপন্যাসে ঘটনা একটু কৌতূহলী, একটু মজার কিংবা রহস্যময় হয়। কাহিনীর মধ্যখানের একটা অংশ থেকে শুরু করে লেখা বলেই কৌতূহল, রহস্য তৈরি হয়। সম্প্রতি আমার প্রকাশিত ভাষা আন্দোলনের উপন্যাস ‘খুঁজে পেয়েছি আমাকে’ এ ধারায় লেখা। রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসটিও এ ধারায় লেখা।
গ. শেষ থেকে শুরু। এ ধারার উপন্যাসের কাহিনী অনেকটা স্মৃতিচারণ ধরনের। কোনো গল্প শুরুর পর স্মৃতিচারণের মতো শেষ অংশ থেকে শুরু করে সামনের দিকে আগাতে থাকে। সর্বশেষে এসে প্রথম অংশের সাথে মিলানো হয়। শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত উপন্যাস এমন ধারায় লেখা।
এ তিন ধরন ছাড়াও আরো অনেক ধারায় উপন্যাসের গতি চলতে পারে। এই তিনটি নিয়মও যে ধরা-বাঁধা নিয়ম; তা নয় কিন্তু। সে ক্ষেত্রে লেখকের ভাবনা আর ইচ্ছাটাই প্রধান। লেখকমনের শিল্পসত্তাই তার উপন্যাসের গতি নির্ধারণ করে।
আখ্যান ও চরিত্র-পার্শ্বচরিত্র
ব্যক্তির আচরণ, ভাবনা, ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে সম্পর্ক এবং ক্রিয়াকা-ই উপন্যাসের প্রধান বর্ণনীয় বিষয়। আর এসব নিয়েই ব্যক্তিত্বের সামাজিক সম্পর্ক। এমন সম্পর্কজাত বাস্তব ঘটনাবলি নিয়েই উপন্যাসের কাহিনী। উপন্যাসে ঘটনা তাই মুখ্য ঘটনার সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিচরিত্র হিসেবে প্রধান উপাদান।
কাহিনী আর চরিত্র- এই দুয়ের সাহিত্যিক কথামালার শৈল্পির বিন্যাসটাই উপন্যাস। এখানে ঘটনা বা কাহিনী আর চরিত্র একটি অন্যটির পরিপূরক। একটা বাদ দিয়ে আরেকটা নিয়ে উপন্যাস হবে না।
উপন্যাসের প্রধান কাঠামোই হলো প্রধান চরিত্র ও পার্শ্বচরিত্র। প্রধান চরিত্রেকে আবার কেন্দ্রীয় চরিত্রও বলা হয়। এই প্রধান বা কেন্দ্রীয় চরিত্রই পুরো উপন্যাসের চরিত্র। এর মাধ্যমে গড়ে ওঠা কাহিনী বা গল্পই উপন্যাস। কেন্দ্রীয় চরিত্রকে গুরুত্ববহ করতে কিংবা লেখার মধ্যে যাতে একঘেঁয়েমি না আসে; সে জন্য বিভিন্ন পার্শ্বচরিত্র-ঘটনার সৃষ্টি করা হয়। এসব পার্শ্বচরিত্র কখনো ছোট্ট একটা দৃশ্য মাত্র, কখনো কৌতুককর বা রহস্যময় দৃশ্য। যত পার্শ্বচরিত্র বা উপ-কাহিনী সৃষ্টি করা হোক না কেন; কেন্দ্রীয় চরিত্রের সাথে একটা সমন্বয় থাকতে হবে। সমন্বিত না হলে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও চরিত্র উপন্যাসের মূল গতিকে আটকে দেবে। অগোছালো হয়ে যাবে লেখাটা। এটাও সাহিত্যিক ভুল।
কেন্দ্রীয় চরিত্র বা পার্শ্বচরিত্রের মাধ্যমে কাহিনী পর¤পরা ধরে এগিয়ে যাবে। সাথে সাথে লেখক তার একটা জীবন দর্শনও দিয়ে যাবেন। অর্থাৎ লেখক নিজের মনের যে লুকানো চিন্তা বা সামগ্রিকভাবে যে ম্যাসেজ উপন্যাসে দিতে চান; সেসবই খ- খ- দৃশ্যকল্প তুলে ধরতে হবে। তবে আগাগোড়া কোনো কঠিন তত্ত্বকথা বা শুধু নীতিবাক্য দেয়া যাবে না; তাহলে কিন্তু ওটা আর গল্প হবে না। গল্প না হলে উপন্যাসের বৈশিষ্ট্যও আর থাকবে না। ওটা তখন হয়ে যাবে প্রবন্ধ ধরনের। এ দিকটাও লেখককে খেয়াল রাখতে হবে।
উপন্যাস লেখা
গল্পের শুরুটা: উপন্যাসের শুরুটা চমক, কৌতূহলোদ্দীপক বা আগ্রহ জাগানিয়া ঘটনা দিয়ে প্রথম অধ্যায় শুরু করতে হবে। মূল আখ্যানের সাথে সরাসরি স¤পর্ক না থাকলেও বা কেন্দ্রীয় চরিত্র না হলেও উপন্যাসের গল্পে প্রবেশের একটা রাস্তা হতে পারে এসব পার্শ্বঘটনা। পাঠকের মাঝে আগ্রহ তৈরি করতে পারে। রূপক উপমায় শব্দ ব্যবহার করলে গল্পের গঠন মজবুত হয়। তবে পার্শ্বঘটনা দিয়ে উপন্যাস শুরু করলে তা কোনো অবস্থাতেই প্রথম অধ্যায় বা অংশবিশেষের বেশি যেন না হয়।
২. কথার রহস্যময় লুকোচুরি: উপন্যাসের বিস্তৃতি বড়ো। তাই কথার রহস্যময় লুকোচুরি উপন্যাসে পাঠককে আকর্ষণ ধরে রাখার চমৎকার কৌশল। রহস্যময় কথার রহস্যভেদ করতেই পাঠক আগ্রহান্বিত হয়ে ওঠবে। ঘটনা হয়ত তেমন না; কিন্তু কথার রহস্যময়তা তাকে এমনভাবে উপস্থান করবে যে পাঠকও ভ্রান্তিতে পড়ে যাবে। তখনই গল্প পাঠকের কাছে আকর্ষণ তৈরি করতে পারে। এমন কথামালা উপন্যাসে গল্পসৃষ্টির অন্যতম আকর্ষণ। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসগুলো অনেকটা এ ধরনের।
৩. সংলাপ: উপন্যাসে জীবনবোধের ছায়া থাকে বলেই সংলাপের ব্যবহার থাকতে হবে। সংলাপ চরিত্রায়ানুযায়ী প্রমিত, আঞ্চলিক, কথ্য কিংবা পরিবেশগত ভাষা হতে হবে।
একজন শ্রমিক-মজুর শ্রেণীর সাধারণের ভাষা আর একজন আমলা চরিত্রের সাধারণ ভাষা এক হবে না। একজন শিশুর সংলাপ আর একজন মা-বাবা কিংবা দাদা-দাদীর সংলাপ এক হবে না। লেখার সময় এ বিষয়গুলোতে খুব সচেতন থাকতে হবে।
৪. কৌতুকী সংলাপের ব্যবহার
লেখার মাঝে মধ্যে কিছু কৌতুকী সংলাপ, হাস্যরস সংযোজন করতে পারো। পড়তে পড়তে পাঠক যেন নিজে নিজেই হাসে। হাস্যরস উপন্যাসকে পাঠকের কাছে আরো গ্রহণীয় করে তোলে। পুরো কাহিনী বা কাহিনীর ভাবের সাথে এর পুরো সম্পর্ক না থাকলেও পার্শ্বঘটনা হিসেবে এমন দৃশকল্প আনা যেতে পারে।
৫. লেখক দর্শন
উপন্যাসে লেখকের একটা দর্শন কাজ করবে। উপন্যাসের চরিত্র হিসেবে একজন লেখকের মধ্যে তৈরি হয় দ্বন্দ্বময় মানুষ। ভালো-মন্দ, শুভ-অশুভ, সুনীতি-দুর্নীতি প্রভৃতির দ্বন্দ্বা’ক বিন্যাস এবং এর পরিণতিই একজন মানুষের সামগ্রিকতা। লেখক সেটাই তার লেখা উপন্যাসে প্রতিফলিত করেন- এটাই লেখক দর্শন। লেখকের সে দর্শনের ছায়া কাহিনী বা উপ-কাহিনীর মাধ্যমেই প্রকাশ করতে হবে। কখনো রূপক অর্থেও কিংবা ভাবগতভাবেও এই দর্শনের অবতারণা করতে হবে। যেমন মিথ্যার বিরুদ্ধে এবং সত্য কথার পক্ষে আমার দর্শন কাজ করবে। লেখার মাঝে এমনভাবে এই দৃশ্য আনব; তাতে যেন মিথ্যার কষ্ট বা ক্ষতিটা হৃদয়ানুভূতিতে নাড়া দেয়। আমাকে সরাসরি বলতে হবে না মিথ্যা খারাপ। ঘটনাই জানাবে মিথ্যার খারাপ দিকটা। এমনভাবেই লেখক তার বিভিন্ন দর্শনকে উপন্যাসে তুলে ধরবেন ঘটনার বিন্যাসে গল্পের গতিতে।
ছোটগল্পের মতোই অতৃপ্তি রেখে উপন্যাসের শেষটা এমন দৃশ্যে শেষ করবে, যাতে পাঠক নিজেই ভাবে, এরপর অমুকটা হতে পারত। এই ঘটতে পারত। ওই ঘটতে পারত ইত্যাদি।
আবার উপন্যাসের মূল দর্শনের বক্তব্য দিয়েও শেষ করা যায়।
এখন মনে রাখতে হবে-
বাক্য যথাসম্ভব সহজ এবং ছোট করবে। এতে পাঠকের পাঠবিচ্যুতি ঘটবে না।
কাহিনীর ভাবনাটা যথাসম্ভব সহজে বোঝার মতো করবে। অতিরিক্ত প্যাঁচানো বা বিমূর্ত ভাব যেন না থাকে।
প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে পরের অধ্যায়ের জন্য ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। আকর্ষণ রাখতে হবে। পাঠক যাতে পড়া বাদ না দেয়।
উপন্যাসের চরিত্রের সাথে কল্পনায় নিজেকে একদম মিশিয়ে ফেলতে হবে। মনে করতে উপন্যাসের চরিত্রই আমি। পাঠকও যেন ভাবে এগুলো তারই জীবনের অংশ বা দেখা ঘটনা। এমন হলেই পাঠক উপন্যাসটি আগ্রহ নিয়ে পড়বে। উপন্যাসের স্বতঃস্ফূর্ততা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৬:১৫ ৩৩৩ বার পঠিত