মোঃ বেল্লাল নাফিজ ॥
ভোলা বিএমইটির সহকারী পরিচালক মোশারেফ হোসেনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অনিয়ম দুর্নীতির ও লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে গত সোমবার (২২শে এপ্রিল) দৈনিক আজকের ভোলার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও সরাসরি ঘুষ বানিজ্যের একটি ভিডিও প্রকাশ করে। প্রকাশের পরপরই মুহুর্তেই ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। জন্মদেয় আলোচনা ও সমালোচনার। ঘুষ বানিজ্যের প্রতিবেদন ও ভিডিওটি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসলে বৃহস্পতিবার (২৫শে এপ্রিল) মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশে প্রবাবী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন ও উপসচিব ড. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান আল মাসুদের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও বিএমইটির সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার আদেশ দেন। সেই সঙ্গে বরখাস্তের দিন থেকে তিনি সরকারি বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন বলেও উল্লেখ থাকে প্রজ্ঞাপনে।
এ খবর শুনার সাথে সাথেই ভুক্তভোগী ও হয়রানির স্বীকার সেবা প্রত্যাশিরা বলেন, শুধু সাময়িক বরখাস্ত করলেই হবেনা। তিনি দীর্ঘদিন ভোলার মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে ঘুষ নিয়ে মানুষকে হয়রানি করেছেন। যা দৈনিক আজকের ভোলা’র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও ভিডিওতে ¯পষ্ট। তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে চাকুরীচ্যুত করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
সোমবার (২২শে এপ্রিল) প্রকাশ্যে ঘুষ বানিজ্যের সময় দৈনিক আজকের ভোলা অনুসন্ধানী টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে সকল ঘুষের টাকা ব্যাগে করে তার অফিস সহকারীর মাধ্যমে পাঠানোর সময় হাতে-নাতে ঐ ব্যাগে অনুসন্ধানী টিমের নাম্বার ফালানো টাকাসহ ভুক্তভোগীদের সহযোগে ধরে ফেলে। পরে এই বিষয়ে ১০/১২ জন ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি তার সৎ উত্তর দিতে পারেনি। পরে একপর্যায়ে অনুসন্ধানী টিমকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার ব্যর্থ চেষ্টায় অফিস-রুম তালা মেরে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সংবাদ ও ঘুষ বানিজ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর নজরে আসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০১:৫০ ২১২ বার পঠিত