তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥
ভোলার তজুমদ্দিন সংলগ্ন মেঘনায় জাল পাতাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে এঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় আহত দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হাজিকান্দি গ্রামের খবিরুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল পাতে একই স্থানে দালাল কান্দি গ্রামের শাজাহানের ছেলে জামাল মাঝিও পরে জাল ফেলে। এঘটনায় নদীতে নজরুল ও জামাল মাঝীর মধ্যে নদীতে মারামারি হয়। পরে নজরুলের বড় ভাই দ্বীন ইসলাম বিষয়টি জামালের দালাল ইউসুফকে জানালে জামালসহ বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হতে থাকে। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারী দ্বীন ইসলাম শশীগঞ্জ মাছঘাটে মান্নানের মাছে গদিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিবাদীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। এ সময় দ্বীন ইসলামের কাছে থাকা ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ঘটনা শুনার পর দ্বীন ইসলামের ভাগ্নে জাহিদ ও ভাতিজা শাহিন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া পথে আবারও হামলা চালানো হয় তাদের উপরে। এ ঘটনায় আহত দ্বীন ইসলাম (৫৫), শাহিন (২২) ও জাহিদকে (২৫) তজুমদ্দিনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আহতদের অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। ভোলা হাসপাতালে শাহিনের অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়। শাহিন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে নাজিম (২৫), জামাল মাঝি (৩৫), কালাম মাঝি (৩২), নুরে আলম মাঝি (৩০), শাহাবুদ্দিন রকি (৩৫), মোঃ ইলিয়াছ (২২), দুলাল (৩৫) ও ইউসু কে (৩৫) আসামী করে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১০। এঘটনায় পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামী জামাল মাঝিকে গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন। পরে জামালকে গ্রেপ্তারের জেরে আসামীরা দ্বীন ইসলামের বড় ভাই নুর ইসলামের উপর তজুমদ্দিন বাজারে হামলা চালায়। এজাহারে আরো জানা যায়, এজাহারভূক্ত আসামীরা মাছঘাটের জনৈক কামালের চোখ উৎপাটন করে ১লক্ষ টাকা জরিমানা দেয়।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, মামলার বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:০০:০৭ ৩৮০ বার পঠিত