শনিবার, ১১ মে ২০২৪

ভোলার চর-পোটকা মৌজার দলিল রেজিষ্ট্রী করতে না পেরে মানুষের ভোগান্তি চরমে

প্রচ্ছদ » ভোলা সদর » ভোলার চর-পোটকা মৌজার দলিল রেজিষ্ট্রী করতে না পেরে মানুষের ভোগান্তি চরমে
রবিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৮



স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলা সদর বাপ্তা ইউনিয়নের চর-পোটকা মৌজার জমি ক্রয়-বিক্রয় করে দলিল রেজিষ্ট্রী করতে না পেরে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। আর সরকার হারাচেছ রাজস্ব।
জমির মালিক মোস্তফা চকিদারসহ শতাধীক মানুষে জানান, সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস জমির মুল্য নির্ধারনের সময় বাপ্তা ইউনিয়নের চর-পোটকা মৌজার জমির দাম ওই ইউনিয়নের একজন কর্মকর্তার যোগ সাজসে ৪ গুন বাড়িয়ে দিয়ে তালিকা করে। তাতে ওই কর্মকর্তা তার নাম মাত্র জমি ব্যাংকে মর্গেজ রেখে কোটি টাকা লোন নেয়। তিনি এখন লাপাত্তা। জমির প্রকৃত দাম শতাংশ ৫ হাজার টাকা, সেখানে ২০ হাজার টাকা তালিকা করা হয়েছে। ৫ হাজার টাকা জমি বিক্রি করলে রেজিষ্ট্রী অফিসের তালিকা অনুপাতে ২০ হাজার টাকা রেজিষ্ট্রী খরচ দিতে হয়। তাই প্রায় ১ বছর যাবত চর-পোটকা মৌজার ৪১ নং জে এল এর কোন জমির বিক্রেতা ও ক্রেতারা দলিল রেজিষ্ট্রী করতে পারছেননা। ১ বছরে কয়েক কোটি টাকার শত শত একর জমি বেচা-কেনা হতো, জমির দলিল রেজিষ্ট্রী করতে না পেরে বেচা-কেনা বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পরেছে জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা। জমি বেচা-কেনা করতে না পেরে তারা তাদের বিবাহ যোগ্য ছেলে মেয়ে বিবাহ দিতে ও করাতে পারছেননা। পারছেননা পারিবারিক কোন কাজ করতে। এখন জমি তাদের কোন কাজেই আসেনা। আর সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচেছন।
চর-পোটকা মৌজার পাশে ৩৫নং জেএল এর গুপ্তমুন্সি, ৩৬নং জেএল এর চর- ইলিশা, ৩৯নং জেএল এর চর-জাঙ্গালিয়া এবং ৪০নং জেএল এর  সদুর চর মৌজার মুল্য তালিকা দেখে, রেজিষ্ট্রী বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে চর-পোটকা মৌজার নতুন তালিকা করার জন্য আহবান জানিয়েছেন ওই মৌজার জনগন। তা না হলে চর-পোটকা মোৗজার জমি মালিকদের কোন কাজেই আসবেনা। ওয়ার্ড মেম্ব^ার কামাল জানান, রেজিষ্ট্রী অফিসের মুল্য তালিকায় জমির দাম বেশী ধরায় জমি বেচা-কেনা ও দলিল রেজিষ্ট্রী হয় না। দলিল লেখক সমিতিরসাধারন সম্পাদক মোকলেছুর রহমানও একই কথা জানালেন।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৬:০২   ৭০০ বার পঠিত