মোঃ বেল্লাল নাফিজ ॥
ভোলায় বেসরকারি এম্বুলেন্স সার্ভিস মালিক সমিতির ধর্মঘটে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সকাল-সন্ধ্যা বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পেয়েছে মুমূর্ষু রোগীরা। মঙ্গলবার (৬ই ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে তারা এ ধর্মঘটের ডাক দেন। ধর্মঘটের কারণ জানতে চাইলে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি মাহম্মুদ চৌধুরী বলেন, সারা দেশে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স মানব সেবায় নিয়োজিত। ভোলায় দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারিভাবে ২৭টি এ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে আসছে।
দেশের সকল যায়গায় বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স হসপিটালের ভিতরে রাখা হয় কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনের সময় ভোলার সিভিল সার্জন হসপিটাল এসকল এ্যাম্বুলেন্স বাহিরে রাখার নির্দেশ দেন। পরে মালিক সমিতি নির্বাচনকালীন সময় সকল এ্যাম্বুলেন্স বাহিরে রাখেন। তার পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত হসপিটালের ভিতরে এ্যাম্বুলেন্স না রাখতে দেওয়ায় তারা এ ধর্মঘটের ডাক দেন। তিনি আরো বলেন, ভোলা সদর হসপিটালের কাছাকাছি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করার পর্যাপ্ত যায়গা না থাকাতে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারছেন না মালিকরা। ফলে বেসরকারি এম্বুলেন্স সার্ভিস মালিক সমিতি চরম বিপাকে পড়ছেন। বাহিরে এ্যাম্বুলেন্স রাখায় অনেক গাড়ী থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অন্যান্য মালামাল চুরি হয়ে যাচ্ছে।
অন্য এক পৃথক ঘটনায়, মঙ্গলবার (৬ই ফেব্রুয়ারী) হসপিটালের সামনে শাহবাজপুর এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের উপর হামলা ও চালককে মারধরের অভিযোগ করেন শাহবাজপুর এ্যাম্বুলেন্স মালিক কামাল মাতব্বর। তিনি জানান, সদর হসপিটালের পিছনে আরিফ (২৭) নামের এক যুবককে ম্যানেজ না করলে তিনি গাড়ি ভাংচুর ও মারধর করেন। আরিফ ভোলা পৌরসভার পৌর নবীপুর মনির হাওলাদারের ছেলে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আরিফের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভোলা সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালক সিদ্দিকের সিন্ডিকেটে অসহায় ভোলার সাধারণ রোগী। চালক সিদ্দিকের নামে বেনামে ৪টি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও প্রায় সকল বেসরকারি এম্বুলেন্স নিতি নিয়ন্ত্রন করেন। কেউ সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের জন্য যোগাযোগ করলে তিনি বেসরকারি নিজের গাড়ী পাঠিয়ে দেন এবং সরকারি এম্বুলেন্স সিরিয়ালে নেই বলে জানান, তিনি আরো বলেন, আজ ভোরে আমার এক রোগী (আত্মীয়) ঢাকায় এ্যাম্বুলেন্স যোগে যাবে। সিদ্দিকের সাথে তারা যোগাযোগ করলে ১৮ হাজার টাকা নিছে যাবে না বলে জানান, পরে আরিফ অন্য বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স ১২ হাজার টাকায় ঢাকা পাঠালে আরিফের নামে চাঁদাবাজ ও দালাল বলে অভিযোগ করেন সিভিল সার্জনের নিকট। এ ঘটনায় বাগবিত-ার এক পর্যায়ে হাতাহাতি ঘটে।
সেই ঘটনা তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে জানা তিনি। এ ঘটনায় সিদ্দিক জানান, আমার সাথে আরিফের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই, আমার ভগ্নীপতি কামাল মাতাব্বরের গাড়ীর চালকের সাথে হয়েছে।
এ ঘটনায়, ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হসপিটালের সিভিল সার্জন শফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২০:৪৪ ৩০৪ বার পঠিত