আল মাহমুদ ॥ কিছু স্মৃতি কিছু কথা

প্রচ্ছদ » সাহিত্য ও সংস্কৃতি » আল মাহমুদ ॥ কিছু স্মৃতি কিছু কথা
শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩



---

।। আব্দুল মান্নান খান ।।

 

“আমার মায়ের সোনার নোলক

হারিয়ে গেলো শেষে

হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি

সারা বাংলাদেশে।”

বাংলা সাহিত্যে বোধ করি, এমন কাব্যিক চরণ আর একটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই কবিতার কবিই হচ্ছেন কবি আল মাহমুদ। কাব্যপ্রেমিক, সমালোচক সর্বোপরি কবিতার কারিগর ও গবেষকদের মতে; বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল পরবর্তী যুগে আধুনিক কবি হিসেবে কবি জীবনানন্দ দাশের পরই তার অবস্থান। দেশ, কাল, মাটি ও মানুষ; রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিকতা ধর্মীয় বোধ, এক কথায় মানবজীবনের সকল মূল উপলব্ধিগুলোকে তিনি সুক্ষ্মভাবে তুলে এনেছেন তার কবিতায়। বিশেষ করে গ্রামীণ জীবন, লোকজ উপমা বা মিথ তিনি তার কবিতায় এনেছেন নিপুণ কারিগরের মতো করে। গ্রামীণ জীবনের কথা বললে মনের মধ্যে উঁকি দেয় আর এক কবি- জসীম উদ্দীনের কথা। তবে তাদের দু’জনের পথ দু’ধরনের। যার প্রমাণ মেলে- সোনালী কাবিন, কালের কলস, লোক লোকান্তর ও মায়াবি পর্দা দুলে ওঠোর মতো অমর কাব্যগ্রন্থগুলোতে। এই ১১ জুলাই এই মহান কবির ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। তার জন্ম দিবসে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে তাকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।

প্রথমেই তার সাথে পরিচয়ের গল্পটা বলি, তার পরে তার বিশাল সাহিত্যভাণ্ডার নিয়ে যৎ সামান্য আলোচনা করব। তার মতো একজন বিশ্বমানের কবি, গল্পকার, উপন্যাসিক, সর্ব্বোপরি শিশু সাহিত্যিকের সাহিত্য ভাণ্ডার নিয়ে আলোচনা করা কঠিন।

আমি নানাভাবে তার কাছে ঋণী। তাই এই লেখার অবতারণা। সাহিত্য সমালোচকদের ধারণা মতে আধুনিক বাংলা সাহিত্যে কবি জীবনানন্দ দাশের পরই কবি আল মাহমুদের অবস্থান। কেননা, গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের জীবন, সমাজ, সংস্কৃতি- বিশেষ করে লোকজ জীবনধারা; ধর্মীয় বিষয়াবলি, বোধ করি আর কোনো কবির কবিতায় এমন সুন্দরভাবে ফুটে ওঠেনি। ১৯৫০-এর দশকে যে কয়জন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনীতি বিশেষ করে পশ্চিম পাকিস্তানি সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে কবি আল মাহমুদ অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন।

আল মাহমুদ আমার স্বপ্ন পূরণের এক মহান কারিগর। আমার স্বপ্ন ছিল একদিন না একদিন আমি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করব, অভিনয় নয়, চলচ্চিত্র বানানো শিখব। যে কারণে টেলিভিশন চত্বর, সিনেমা জগৎ, রেডিও হাউজ, মঞ্চ নাটক বলতে- বেইলি রোডের এপাশ-ওপাশ সব জায়গা, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্য রাত অবধি, তন্ন তন্ন করে হেঁটে বেড়িয়েছি সেই আশি ও নব্বইয়ের দশকে। স্বপ্নটা এমন! যদি কোনো চলচ্চিত্র পরিচালক বা হোমরা-

চোমরা কারোর সাথে পরিচয় হয়ে যায়! তাহলে তো কোনো কথায় নেই, স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে। কিন্তু হলো না। হলো কার হাত দিয়ে- সেই কবি আল মাহমুদ, আমার অন্যতম প্রিয় কবি, ভালোবাসার মানুষ, অসাধারণ এক মায়ার মানুষের মাধ্যমে। তিনি সোনালী কাবিন’র কবি, পাখির কাছে ফুলের কাছে’র কবি।

সালটা মনে নেই তবে এটুকু মনে আছে, পাক্ষিক ‘পালাবদল’ তখন বাংলাদেশের বিদগ্ধ পাঠকের কাছে বেশ আদরনীয়। সেই পত্রিকায় আমি আসি শিল্পী হামিদুল ইসলামের হাত ধরে। আমি এই পত্রিকায় সিনেমার পাতায়, মঞ্চ নাটক, টেলিভিশন প্রোগ্রাম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নানান কিছু লেখার অনুমতি পেয়ে যাই। তখন এই পত্রিকার পাশাপাশি আমি অধুনালুপ্ত বাংলাদেশের একমাত্র ব্রডসিট রঙিন সিনেমার সাপ্তাহিক ‘চিত্রালী’-তে কাজ করি। পালাবদল কর্তৃপক্ষ আমাকে অ্যাসাইনমেন্ট দিতেন, আর আমি তা পাগলের মতো ছোটাছুটি করে লিখে আনতাম। আমার জন্য বেশ সুবিধাজনক কাজ ছিল পাশাপাশি ‘চিত্রালী’-তে কাজ করার সুবাদে।

একদিন দুপুরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সর্বকালের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’র একজন পরিচালক শেখ নিয়ামত আলী পালাবদল পত্রিকার অফিসে এসে হাজির। উনি মাঝেমধ্যেই আসতেন কবি আল মাহমুদের কাছে। কবির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন তিনি। মাঝারি গড়নের শরীর, গায়ের রঙ ছিল শ্যামলা। চোখে ভারী পাওয়ারের চশমা আঁটা। একবারে সাদামাটা মানুষটি ধীরলয়ে কথা বলছেন কবির সাথে। আমি অনেক আগেই ছবিটি দেখেছিলাম। তখন ভালো লাগেনি। উনার নাম শুনেছিলাম, চোখে দেখিনি। এই প্রথম দেখলাম। সিঙাড়া খেতে খেতে কবি আমায় ডেকে বললেন, “কি রে পাগলা, তুই না সিনেমা সিনেমা করে পাগল, এবার আয় দেখি, তোর স্বপ্নখানা পূরণ করতে পারি কি না। তোর সাথে এক বড় পাগলের পরিচয় করিয়ে দিই। কথা শুনে ওই রুমে দম ফাটানো হাসির ফোয়ারা বয়ে গেল। এই প্রথম সিনেমা জগতের কোনো একজন বিশেষ ব্যক্তির সাথে আমি পরিচিত হলাম। তার আগে এফডিসি বা বিটিভি রেডিওতে অনেককেই দেখেছি; কিন্তু কথা বলা তো দূরের কথা, কাছেও যেতে পারিনি। পরবর্তীকালে তার হাত ধরে সিনেমা জগতে ঘুরেছি অনেক। কাজ করেছি সম্মানের সাথে শুধু মাত্র তার সাথে চলাফেরা করার জন্য। তাই কবি আল মাহমুদের কাছে আমি ঋণী।

এখানে একটা কথা বলে রাখি, এই অফিসে এসে আমার সাথে কবি আল মাহমুদের পরিচয় ঘটেনি। কবির সাথে পরিচয় হয় আমার ১৯৮৫ সালে। তখন তিনি শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক। আমরা সকাল বেলায় দল বেঁধে বের হতাম বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে লেখা দিতে। যেতাম চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর অফিসে। সেখান থেকে শিশুদের জন্য প্রকাশিত হতো মাসিক নবারুণ, পাক্ষিক সচিত্র বাংলাদেশ ইত্যাদি। এসব পত্রিকায় লেখা দিয়ে আমরা যেতাম সোজা শিল্পকলা একাডেমি। সেখানে লেখা দেয়ার বিষয় নয়। সেখানে আমরা যেতাম কবি আল মাহমুদের সাথে কথা বলার জন্য একটু দেখা সাক্ষাৎ করে চা-সিঙাড়া খাওয়ার জন্য। সেখানে আল মাহমুদের টেবিলে দেখেছি বাংলাদেশের বহু হোমরা-চোমরা প্রগতিশীল সব কবি, লেখক, রাজনীতিবিদ, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, নাটক ও চলচ্চিত্র জগতের লোকজনের আড্ডা। এক কথায় সর্বস্তরের সুধী লোকজনের জমায়েত আমি দেখেছি সেখানে। তাদের সাথে আমি পরিচিত হয়েছি। পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন কবি আল মাহমুদ। যে পরিচিতি পরবর্তীকালে আমার কাজে লেগেছে সাংঘাতিকভাবে।

যাই হোক, তারপর সোজা কাকরাইল হয়ে হাইকোর্ট পেরিয়ে বাংলা একডেমি। সেখানে ধান শালিকের দেশ। লেখা দিয়ে সোজা শিশু একাডেমি। সেখানে শিশুদের জন্য বেরুতো মাসিক- শিশু। এখনো প্রকাশিত হচ্ছে অত্যন্ত সুন্দরভাবে। তার সম্পাদক ছিলেন- উপন্যাসিক বিপ্রদাস বড়–য়া। বেশ রাশভারি কিন্তু উদার ছিলেন তিনি। শিশু একাডেমিতে শিশু পত্রিকায় লেখা দিয়ে আমাদের অভিযান শেষ হতো। সপ্তাহে একদিন যাওয়া হতো কিশোর বাংলা অফিসে সাহিত্য সভায়।

পরের অধ্যায় আরো বিশাল বিষয়। তিনি পালাবদল অফিসে বসে তার বেশ ক’খানা বিখ্যাত উপন্যাস রচনা করেছেন। যাদের মধ্যে ‘কাবিলের বোন’ ও ‘ডাহুকি’ বিশেষভাবে উল্লেখ্য। আমি ‘পালাবদল’-এ এসে যে ঘরে বসে লেখা তৈরি করতাম, সেই ঘরের পাশেই ছিল কবি আল মাহমুদের বসার ঘর। তিনি সেখানে বসে লিখতেন। হঠাৎ হঠাৎ বেরিয়ে এসে আমাদের সাথে কথা বলতেন। মাঝে মধ্যে ড. তারেক শামসুর রেহমান এসে বসতেন আমার সামনে। আমি নিজের চোখে দেখেছি, একটি মানুষের মধ্যে কী অসাধারণ লেখার ক্ষমতা বা প্রতিভা থাকলে তিনি হরহামেশাই হু হু করে লিখে যেতে পারেন! আল মাহমুদ ছিলেন তার বড় প্রমাণ। তিনি লিখতেন আর সেই লেখা পরবর্তী সপ্তাহেই ‘পালাবদল’-এ ছাপা হতো। আর সেসব লেখা ‘পালাবদল’র বিশেষ রুচির পাঠকরা গোগ্রাসে পাঠ করতেন।

মাঝেমধ্যে আমার সাথে হতো ছড়া, কবিতা, গল্প বিশেষ করে বিশ্বসাহিত্য নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা। আমি অবাক হয়ে চেয়ে থাকতাম তিনি কীভাবে, হরহামেশাই বলে যাচ্ছেন ল্যাটিন আমেরিকান উপন্যাস লেখার নতুন এক ফর্ম-ম্যাজিক রিয়েলিটি’র বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং লেখার বিষয় নিয়ে নানা কথা। উর্দু, ফারসি, আরবি এমনকি আধুনিক ভারতীয়, ইংরেজি এবং আমেরিকান সাহিত্যের ওপরও তার ছিল অগাধ পাণ্ডিত্য।

আমাদের বাঙালি জাতির গর্বের ধন ১৯৭১ সালের আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্বও পালন করেছেন হৃদয় দিয়ে। আল মাহমুদের লেখালিখির হাতেখড়ি একেবারে ছেলেবেলা থেকেই। কিন্তু আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৫৪ সালে। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত- সমকাল এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুস্কোণ, ময়ূখ ও কৃত্তিবাস এবং বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত “কবিতা” পত্রিকায় লেখালেখির কারণে ঢাকা-কলকাতার সাহিত্য মহলসহ সাধারণ পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেন। এই সময়টা বলা যায় কবি আল মাহমুদ’র জীবনের এক সোনালী সময় রচনা করেন। শুরু হয় নতুন এই কবিকে নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা। একে একে লিখতে থাকেন- কাব্যগ্রন্থ- লোক লোকান্তর (১৯৬৩)। যে কাব্যগ্রন্থ তাকে কবিমহলে পরিচিতি আনার সাথে সাথে একটি স্বতন্ত্র জায়গা করে দেয়। করে নেন বাংলা সাহিত্যের এক নতুন জায়গা। বাংলা সাহিত্য পায় এক উঁচু মানের কবিকে। এরপর তিনি রচনা করেন কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৭৩)। এরপর মায়াবী পর্দা দুলে উঠো (১৯৭৬); এই কাব্য গ্রন্থ তাকে নিয়ে যায় অন্য মাত্রায়। আগেই বলেছি, ১৯৭১ সালের পর থেকে তিনি গদ্যসাহিত্যে হাত পাকাতে থাকেন। এবং দীর্ঘদিন পর, ১৯৯৩ সালে প্রকাশ পায় তার প্রথম উপন্যাস “কবি ও কোলাহল”। কবি নিজেই অনেক সময় বলেছেন, কোনো পুরস্কারের জন্য আমি লিখি না। পুরস্কারকে তিনি কখনো কিছু মনে করেননি। তবু ১৯৬৮ সালে লোক লোকান্তর ও কালের কলস এই দু’টি কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে অর্জন করেন ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার এবং সেই বছরেই পেয়ে যান একুশে পদক।

১৯৭১ সালটা কবির জীবনের এক বিশাল বাঁক বদলের বছর বলা যায়। এই সময় তিনি কবিতার পাশাপাশি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। সাংবাদিকতার সাথে ছিল তার নাড়ির যোগ। তাই স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সরকারবিরোধী একমাত্র সংবাদপত্র ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’ (১৯৭২-১৯৭৪) তার তিনি ছিলেন চৌকস সম্পাদক। তার আসল নাম- মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। কিন্তু তিনি আল মাহমুদ নামেই পরিচিত। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোট গল্প ‘পানকৌড়ির রক্ত’ প্রকাশিত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি এই দায়িত্ব পালন করার পর তিনি পরিচালক হন এবং ১৯৯৩ সালে এই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- লোক লোকান্তর, কালের কলস, সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো, আরব্য রজনীর রাজহাঁস, বখতিয়ারের ঘোড়া, অদৃশ্যবাদীদের রান্নাবান্না, Selected Poems of Al Mahmud- দিনযাপন, দ্বিতীয় ভাঙ্গন, একটি পাখি লেজ ঝোলা, পাখির কাছে ফুলের কাছে, আল মাহমুদের গল্প, গল্পসমগ্র, প্রেমের গল্প, যেভাবে বেড়ে উঠি, কিশোর সমগ্র, কবির আত্মবিশ্বাস, কবিতা সমগ্র, কবিতা সমগ্র-২, পানকৌড়ির রক্ত, সৌরভের কাছে পরাজিত, গন্ধ বণিক, ময়ূরীর মুখ, না কোন শূন্যতা মানি না, নদীর ভেতরের নদী, প্রেম প্রকৃতির দ্রোহ আর প্রার্থনার কবিতা, প্রেমের কবিতা সমগ্র, উপমহাদেশ, বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ, উপন্যাস সমগ্র-১, উপন্যাস সমগ্র-২, উপন্যাস সমগ্র-৩, তোমার গন্ধে ফুল ফুটেছে, ছায়ায় ঢাকা মায়ার পাহাড় (রূপকথা), ত্রিশিরা, উড়াল কাব্য, এ গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিল না (মহাকাব্য), এক চক্ষু হরিণ।

কবি লেখকদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, কুৎসা, বিরোধিতা, হিংসা-বিদ্বেষ সবই থাকে। কিন্তু অবাক হলেও সত্য যে, কবি আল মাহমুদের বেলায় সেটি হয়েছে অসম্ভব ধরনের এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। তাকে নিয়ে বারবার নানান ষড়যন্ত্রের, কুৎসার জাল বিস্তার করা হয়েছে। তবু তার জয় ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি কেউ। তাকে নিয়ে গবেষণা হয়েছে প্রচুর। এখনো চলছে, চলবে চিরকাল। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কবি খোরশেদ আলম মুকুল’র গবেষণামূলক গ্রন্থ- “দ্রোহের কবি আল মাহমুদ”। কমরুদ্দিন আহমদ’র গবেষণামূলক প্রবন্ধগ্রন্থ “আল মাহমুদ : কবি ও কথাশিল্পী”।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪০:২৬   ২০১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সাহিত্য ও সংস্কৃতি’র আরও খবর


ভোলায় দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলা
দিলরূবা জ্যাসমিনের উপন্যাস “তবুও ছুঁয়ে যায়”- এর মোড়ক উন্মোচন
আজকের ভোলা প্রতিনিধি কবি নুরুল আমিনের কাব্যগ্রন্থ ‘ধান শালিকের কাব্যমালা’ প্রকাশ
দৌলতখানের কৃতি সন্তান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কবি হায়াত মাহমুদ অসুস্থ ॥ সকলের দোয়া প্রার্থী
ভোলায় বর্নাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল গণজাগরনের সাংস্কৃতিক উৎসব
ফিলিস্তিন মুক্তি সংগ্রামের সাহিত্য
কারার ঐ লৌহকপাট
উপমা না বুঝলে সাহিত্য বোঝা দায়
ভোলার দুই দিনব্যাপী সাহিত্য মেলার শুরু
উপন্যাস : রীতি ও প্রকৃতি



আর্কাইভ