আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
জেলা নাগরিক ফোরাম ভোলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সামাজিক নিরাপত্তা পরিসেবার মানোন্নয়নে নাগরিক সংলাপে বক্তারা স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুষ্ঠ বাস্তবায়নে অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকৃত হত-দরিদ্রদের তালিকা তৈরির প্রতি গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানান। তারা আরো বলেন, সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ইউনিয়ন ভিত্তিক বাছাই কমিটিগুলো গঠন করার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা হচ্ছে না। কমিটি গঠনের সময় ব্যক্তিগত পছন্দ ও অপছন্দের অধিভুক্তি প্রাধান্য পাওয়ায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া পক্ষপাতদুষ্ট হচ্ছে ফলে যোগ্য পরিবারগুলো বাদ পড়ছে তাদের প্রাপ্য পরিষেবা থেকে। সামাজিক নিরাপত্তা সেবার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতিগত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় প্রতিবন্ধকতা সমূহ দূড় করতে পারলে এর মান অধিকতর শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব বলে মতামত দিয়েছেন অংশগ্রহণকরীরা। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কোস্ট ফাউন্ডেশন ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং জেলা নাগরিক ফোরাম ভোলার আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রাজিব আহমেদ, ভোলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক কাজি গোলাম কবির, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চামেলী বেগম।
জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি মামুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে সংলাপে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। কোস্ট ফাউন্ডেশনের এম. এ. হাসানের সঞ্চলনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কোস্ট, সিইপিআই প্রকল্পের মোঃ মনিরুজজামান। আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ ফজলুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, স্থানীয় পর্যায়ের সীমাবদ্ধতাসমূহ কাটিয়ে উঠতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী সেবার মান বৃদ্ধিতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বিশেষ করে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি এবং নাগরিকদের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরী। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নাগরিক ফোরামের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়, এই ধরনের উদ্যোগ সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটগুলোতে সরকারি সেবার উপকারভোগীদের তালিকা আপলোড করা হলে জনগণের মতামত ও সুপারিশ পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই ওয়ার্ড সভা ও উন্মুক্ত বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপকারভোগীদের তালিকা স¤পন্ন করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিবে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিক উপকারভোগীদের তালিকা ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপলোড ও আপডেট করা হবে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক, কাজি গোলাম কবির বলেন, উপকারভোগীদের তালিকা করার জন্য ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে দুটি কমিটি আছে এবং তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তালিকা জমা না দেওয়ার করানে সমস্যার তৈরী হয়। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিক উপকারভোগীদের তালিকা ও অপেক্ষমান তালিকা করলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা সেবার মন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে। তাই স্থানীয় সরকার বিভাগের মাননীয় উপ-পরিচালক এর বিভাগ থেকে যদি উপকারভোগীদের তালিকা করনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধিদেরকে নেটিশ প্রদান করা হয় তাহলে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চামেলী বেগম বলেন, আমাদের উপকারভোগীদের তালিকা তৈরী ও ডাটা এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। নাগরিক ফোরাম যে সুপারিশগুলো তুলে ধরেছে তা বাস্তবায়নে আমরা উদ্যোগ নিবো এবং পাশাপাশি এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৩:০১ ২৭৮ বার পঠিত