স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সুপারির পাড়াকে কেন্দ্র করে নারী ও মাদ্রাসার ছাত্রর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের উওর কুরালিয়া গ্রামের নওকরি বাড়ির আবুল কালাম ও চারু ব্যাপারি বাড়ির বশির গ্রুপের মাঝে সুপারি পারাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ হয়। এতে বশির গ্রুপের নারী ও মাদ্রাসার ছাত্রসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, সাজু বেগম (২৮), ফজিলত (৩৮), রহিমা (৪৫) ও মাদ্রাসার ছাত্র সোহেল(১৬)। তারা দৌলতখান ও ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন। এসময় সাজু বেগম এর কানের দুল ও গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে আবুল কালাম ও তার ছেলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানায়, ঢাকার ট্রাক ড্রাইবার মোঃ বশিরের স্ত্রী সাজু বেগম। শুন্য বাড়িতে সাঁত বছর বয়সের ছোট ও ১৩ বছর বয়সের মেয়েকে নিয়ে থাকেন বাড়িতে। বৃহস্পতিবার তাদের বাড়ির পিছনে ভোগদখলীয় জমিতে সুপারি পাড়াতে গেলে স্থানীয় আবুল কালাম ও তার ছেলে সবুজ এসে বাঁধাদেয়। এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটি হলে তা হামলায় রুপনেয়। এতে বশিরের সাজু বেগম গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা ডাক চিৎকার শুনে সেখান থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ দিকে সাজু বেগমের আহতর খবর শুনক তার বড় বোন, মামি ও মামাতো ভাই দেখে যাওয়ার সময় পূনরায় হামলা করেন আবুল কালমের ছেলে সবুজ। এতে আহত নারী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে দৌলতখান স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তারা দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে চিকিৎসাধিন আছেন।
এ বিষয়ে আহত সাজু বেগম বলেন, আমার দাদা শশুর মারা যাওয়ার আগে আমার স্বামীকে দলিল করে সুপারির বাগান লিখে দিয়েছেন। আমরা বিগত বিশ বছর যাবৎ এই সুপারির বাগান ভোগকরে আসছি। গতকাল আমি ওই বাগানে সুপারি পাড়াতে গেলে আমার পাশ্ববর্তী জমির মালিক আবুল কালাম এসে বাঁধা দেয় এই জমি তার বলে। এ সময় তার ছেলে সবুজ এসে ভাষা খারাপ করে গালাগাল করেন। তাদের ডাকদিলে বাবা ও ছেলে আমার উপর হামলা করে। পরে আমার ডাক চিৎকার শুনে আমার মেয়ে ও বাড়ির অন্য লোকরা এসে আমাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। এসময় আমার উপর হামলার খবর শুনে আশা আমার মামি, বড় বোন ও মামাতো ভাই যাওয়ার সময় আবুল কালামের ছেলে সবুজ আবার তাদের উপর হামলা করে পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তাৎখনিক দৌলতখান হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমরা স্থানীয় শাহে আলম মেম্বারকে জানালে তিনি দুই পক্ষকে ডেকে এই জমির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জমিতে না যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু এতো কিছু হওয়ার পরেও আবুল কালাম ও তার ছেলে আমার সুপারি বাগান দখল করার জন্য সেখানে নতুন করে সুপারির চারা লাগান।
এ ব্যাপারে মামলার কথা জানতে চাইলে সাজু বেগম জানান, বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা প্রকৃয়াধীন আছে বলেন জানান তিনি ।
আর অভিযুক্ত আবুল কালাম বলেন, এই জমিতে আমার ৭ করা সুপারির বাগান। আমি দির্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। গতকাল বশির এর স্ত্রী সাজু আমার জমিতে সুপারি পাড়তে গেলে আমি তাকে বাঁধ দেই। তখন একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে, অন্য কিছু না। আর আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। এর সাথে আমরা কোন ভাবে জরিত নই।
আর বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল আমীন জানান, এ ব্যাপারে থানায় লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৫:৪৫ ৫৫৫ বার পঠিত