ভোলায় অন্যের ভোগদখলীয় জমির গাছ কেটে দখলের চেষ্টা

প্রচ্ছদ » অপরাধ » ভোলায় অন্যের ভোগদখলীয় জমির গাছ কেটে দখলের চেষ্টা
শনিবার, ৪ মে ২০২৪



---

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ভোলা সদর উপজেলায় অন্যের ৪০ বছরের ভোগদখলীয় জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় শফিজল ফকির নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জমি দখলের জন্য স্থানীয় মফিজল ইসলামের ছেলে জামালকে দিয়ে জমির গাছ ও মটি কেটে ঘর উত্তোলনের চেষ্টা করেন। পরে থানায় অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসলেও তারা সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন জমির মালিক মো. শাহাজল ইসলাম বেপারী। ঘটনাটি ঘটে সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামে।

শাহাজল ইসলাম বেপারী আরো জানান, ১৯৮৪ সালে স্থানীয় আফতর আলী ফকিরের ছেলে আ. হাশেম ও কয়ছর আহম্মদ এবং মেয়ে হাফেজা খাতুনের কাছ থেকে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী মৌজার ৭৩০১ খতিয়ানের ছয়টি দাগে মোট ৪২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ১৯৮৪ সাল থেকেই ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। জমিতে বর্তমানে তার নিজের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর রয়েছে। গত ৮-১০ বছর আগ থেকে আ. হাসেম ফকিরের ছেলে শফিজল ফকির তাদের বলে দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। মামলা করেও জমি দখল করতে না পেরে সম্প্রতি গত দুই মাস ধরে জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। জমি দখল করতে শফিজল ফকির লোকজন দিয়ে পুকুর মাছ ধরেও নিয়ে যায়। এমনকি জমিতে থাকা সুপারী ও কাঠাল গাছ কেটে ফেলে। পরবর্তীতে জমিতের ঘর তোলার জন্য স্থানীয় মফিজল ও তার ছেলে জামালকে দিয়ে মাটি কাটার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফখরুল আলম ফরাজী এসে তাদেরকে জমির গাছ ও মাটি কাটার কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, শফিজলের কাছ থেকে তারা এই জমি কিনবেন। তাই আগ থেকেই মাটি কেটে ঘর তোলার কাজ করছেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাদেরকে জমির দলিল না হওয়া পর্যন্ত মাটি কাটতে নিষেধ করেন।

শাহাজল বেপারী অভিযোগ করে বলেন, তিনি ৪২ শতাংশ জমির মধ্যে অধিকাংশ জমিই বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। সেখানে লোকজন ঘরবাড়ি করে বসবাস করে আসছে। কিন্তু আ. হাসেম ফকিরের ছেলে শফিজল ফকির একটি ভুয়া দলিল দিয়ে তার জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরদের বিষয়টি জানিয়েছেন। এর পরও শফিজল ফকির তার জমি দখলের পায়তারা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি গত এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে জোর করে তার পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এর কয়েকদিন পর আবারও এসে জমির প্রায় ৮-১০টি সুপারী ও কাঠাল গাছ কেটে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকালে লোকজন নিয়ে জমিতে মাটি কেটে ঘর তুলতে আসলে তারা প্রথমে বাঁধা দেয়। তাদের বাঁধা না শোনলে তিনি ৯৯৯ কল দিয়ে অভিযোগ করেন। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ চলে যাওয়ার পর তারা আবারও কাজ শুরু করেন। এ অবস্থায় তিনি ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিজল ফকিরকে মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিঞা জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩২:৫৬   ৬১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


ভোলায় মেঘনা নদী থেকে পাঙ্গাস মাছের অবৈধ পোনা শিকারের ৫টি চাই ধ্বংস
ভোলায় দুই মাদক কারবারীকে সাজা
তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩শ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক
ওমরাহ পাঠানোর নামে হাজী কামালের প্রতারণা
চরফ্যাশনে ভূমিদস্যু মুছার নেতৃত্বে নারী ও শিশুর ওপর সন্ত্রাসী হামলা
লালমোহনে জমি দখলের জন্য মালিকের উপর হামলার অভিযোগ
দালালদের খপ্পড়ে পড়ে নিঃস্ব জীবন ॥ চরফ্যাশন উপজেলার পাচঁ প্রবাসীর আর্তনাদ!
সৎ মায়ের বিরুদ্ধে সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
চরফ্যাশনে ব্যবসায়ীকে হাত পা বেধেঁ মারধরের অভিযোগ
লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ



আর্কাইভ