ভোলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ॥ দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষ আহত-৩০

প্রচ্ছদ » অপরাধ » ভোলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ॥ দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষ আহত-৩০
বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২



---

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার পূর্ব ইলিশা ও বাপ্তা ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন-পরবর্তী মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষ মারধরসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতরদেরকে ভোলা সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাপ্তা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরাজিত মেম্বার প্রাথী ফারুক হাজিরহাট বাজারে প্রতিপক্ষ বিজয়ী প্রার্থী মাকসুদর রহমান নিরবের উপর হামলা করে। স্থানীয়রা জানান, পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ফারুক, তার ছেলে আলমাস, ভাতিজা রাবিক, ভাই ফজলে আলমসহ সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে পূর্ব থেকে হাজিরহাট বাজারে ওঁত পেতে থাকে। সকাল ৯ টার দিকে নিরব মেম্বার বাজারে এসে একটি চায়ের দোকানে বসে। এসময় ফারুক মেম্বার ওই দোকানে নিরব মেম্বারের উওপ হামলা করে। এসময়  তাকে বাঁচাতে গিয়ে মিজান ও হোসেন নামে আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়। এরপর হামলাকারীরা নিরব মেম্বারের বাড়িঘরে হামলার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এদিকে হাসপাতাল যাওয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দ্বিতীয় দফায় নিরব মেম্বারকে মারধার করা হয়। এরপর হাসপাতাল গিয়ে তৃতীয় দফায় নিরব মেম্বারকে মারার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে ফারুক মেম্বারের লোকজনের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। নিরব মেম্বারের বাড়ির লোকজন জানান, তার এখন বড়ির মধ্যে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ফারুকের লোকজন এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। যাকে পাচ্ছে তাকেই মারধর করছে।
অপরদিকে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শিকদার বাড়ির দরজা দিয়ে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী লিটন শিকদারের কর্মী সমর্থকরা মোটর সাইকেল যোগে যাওয়ার সময় পরাজিত প্রার্থী শাহে আলম শিকদারের সমর্থকরা হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। হামলায় আলাউদ্দিন সিকদার, আলমগীর সিকদার, রুবলে সিকদার, ইমতিয়াজ, লিমন, বিল্লাল, মাইনুদ্দিন, সালমান সিকদার, আকলিমা লিমন, জান্নাত বিল্লাল, মাসুম সিকদার, কামাল চৌকিদার, সাকিব চৌকিদার, কামরুল, ফারুক, আকলিমা, জাহানারা বেগম গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় লিটন সিকদারদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, দোকান লুট, হোন্ডা পুড়ে ফেলা, টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. শাহ আলম বলেন, ‘বিজয়ী হয়ে তারা আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রতিপক্ষের হামলায় আমার ১০ জন আহত হয়েছেন।’
এছাড়াও ধনিয়া, পশ্চিম ইলিশা, রাজাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকেও সংঘাত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
ভোলা মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৪:১৬   ৩৩২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


ভাইয়ের প্রতারণার শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী উজ্জলের মানবেতর জীবন
সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোলায় সমাবেশ
ভোলায় পোস্ট অফিসে আইসক্রিমের ব্যবসা
লালমোহনে আবাসনের ঘর জবর দখলের অভিযোগ
ভোলায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ৮৫ মণ মাছ জব্দ
ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না ভোলার বিএমইটি অফিসে॥ প্রতিদিন ঘুষের আয় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা!!
ভোলায় ফিল্মি স্টাইলা অপহরণ ॥ কতিপর উদ্ধার
ফুঁক দিয়েই সব সমস্যার সমাধান করেন ফরিদ!
প্রেমিকের সঙ্গে ‘বিয়ে’ রফাদফায় এসে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ধরা তরুণী, অতঃপর…
ভোলায় যৌতুকের মামলা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিলো স্বামী ॥ শিশু সন্তান নিয়ে দুশ্চিতায় হাফছা



আর্কাইভ