ভোলার রাজনীতিতে সফল ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলার রাজনীতিতে সফল ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ
শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪



---

আল আমিন ॥

বর্তমানে আমাদের রাজনীতির দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই রাজনীতিবিদদের যেন লক্ষ্যই হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতায় থেকে নানা ভাবে ক্ষমতাকে উপভোগ করা। অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। একজন রাজনীতিবিদের মিশন ভীষণ সবকিছুই হবে জনগণের সেবা ও কল্যাণ। জনগণের ভালোর জন্য সমাজের উন্নয়নের জন্য নিজেকে নিবেদিত রাখাই রাজনীতিবিদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। বর্তমান সময়ে দেশে সেবা ও কল্যাণের লক্ষ্যে যে দু’চারজন রাজনীতিবিদ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের একজন ভোলা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ। যিনি একাধারে একজন সফল রাজনীতিবিদ সমাজসেবী এবং ব্যক্তিগতভাবে জনপ্রিয় ভালো মানুষ। ভোলা সদর উপজেলা থেকে ২০০৯ সাল থেকে পরপর তিনবার নির্বাচিত ভাই চেয়ারম্যান জননন্দিত রাজনৈতিক নেতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনূছের জীবনের বিভিন্ন দিক এখানে উপস্থাপনের চেষ্টা করব। অজপাড়া গায়ের এ মানুষটি কিভাবে এত মানুষের প্রতিযোগিতার ভিড় ঢেলে নিজেকে সবার মধ্যে একজন জনবান্ধব নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেই সব কথাগুলো বলব। কারো কারো মতে তার সফলতার মূলে রয়েছে অদম্য সাহস আর প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যেও লক্ষ্যের প্রতি অটল মনোভাব তাকে সফলতার পথ উন্মুক্ত করেছে। কিন্তু যে জিনিসটা তাকে দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে, সেটি তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা। জীবনের শুরুতেই তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন, আর সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করেছেন এবং নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস! সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন।

ভোলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও একজন জনপ্রিয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ!নেপথ্যেই চলেছে তার পথচলা। খ্যাতি ছড়িয়েছে জনবান্ধব নেতা হিসেবে। একপর্যায়ে পরিণত হয়েছেন মিথে।

পারিবারিক পরিচয়ঃ

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন এর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের আবেদা-জালাল দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে ১৯৬৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে জন্ম গ্রহণ করেন মোহাম্মদ ইউনুছ। তারা চার ভাই, একজন হলেন মরহুম ইব্রাহিম মিয়া, যিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন আজ থেকে ১৯ বছর পূর্বে। তিনি ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পরপর পাঁচবার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। আর-ও একজন যিনি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ভোলা জেলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন, (তৎকালীন ভোলা মহকুমার) ঢাকাস্থ ভোলা সদর উপজেলা সমিতির সভাপতি এবং ভোলা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া। একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার-ও রয়েছে বহু যশ-খ্যাতি, তবে আজ তার কথা বলছি না। শিবপুরের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে ইব্রাহিম চেয়ারম্যান পরিবারের সম্পর্ক। সে পরিবারের অন্যতম হলেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ। আজ তুলে ধরবো এই জনপ্রিয় মানুষটার মহত্ত্বের গল্প।

জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউনুছঃ

তার মেধা, মননশীল চিন্তা, পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য যেমনিভাবে স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন;তেমনিভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সর্বোপুরি নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।

২০০৯ সাল থেকে বর্তমান নিয়ে টানা তিনবারের ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত সফল ভাইস চেয়ারম্যান, ও বরিশাল বিভাগীয় ভাইস চেয়ারম্যানদের অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান সহ অবকাঠামো নির্মাণকাজের ভিত উন্নয়ন করেছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে দলের ভাবমূর্তি হয়েছে উজ্জ্বল। ভোলা সদর উপজেলার আলোকিত এবং সর্বমহলে প্রশংসিত মুখ হিসেবে পরিচিত তিনি।

তারুণ্যের আস্থার প্রতীক এ মানুষটি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয় বরং তার দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি অনেক প্রবীণ এবং প্রাজ্ঞ। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। এসকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সে সব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য খুঁজে পায় নতুন প্রেরণা।

রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনঃ

রাজনৈতিক পরিবারেই তার জন্ম, তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালে ভোলা সরকারি স্কুল অধ্যয়নকালীন সময়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এরপর ১৯৮৭ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, যথাক্রমে ১৯৮৯ সালে ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের (মাইনউদ্দিন হাসান চেšধরী-ইকবালুর রহিম) সদস্য, একই সাথে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক, ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (শামিম-পান্নার) কমিটির সদস্য এবং ২০০৩ সালে ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক, (২০০৩-২০১৯) সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের টানা তৃতীয়বার নির্বাহি কমিটির সদস্য, (২০০৫-২০১৯) সাল পর্যান্ত জেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের সফল সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সামাজিক কার্যক্রমঃ

জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভোলার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সামাজিক সংগঠন এর গুরু দায়িত্ব পালন করছেন, তারমধ্যে অন্যতম ভোলা প্রতিবন্ধী স্কুল এর (বিসিএস) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম ও জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) জেলা সহ-সভাপতি, রেড ক্রিসেন্ট ভোলা শাখার আজীবন সদস্য, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে তার মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন “আবেদা-জালাল-ইব্রাহীম চেয়ারম্যান ফাউন্ডেশন” এছাড়াও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন একনিষ্ঠতার সাথে। এ মানুষটি নিজের সততা ও দায়িত্ব পরায়ণতার কারণে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা ভাবে প্রশংসিতও হয়েছেন এবং পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম দাতা পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল, ধর্মভীরু এবং সাদা মনের মানুষ। একজন ধর্মাশ্রয়ী মানুষ যিনি শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়মিত সালাত আদায় করেন। তাঁর মাঝে নেই কোনো অহংকার কিংবা আত্মগৌরবের বহিঃপ্রকাশ। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয় ব্যাক্তি। হাতেগণা কয়েকজন নেতার মধ্যে তার কাছে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পায় সাধারণ মানুষ। তিনিও শত ব্যস্ততার মধ্যে মানুষের কথা শোনেন এবং সান্ত¡না দেন।

তার একমাত্র কন্যা সন্তান রোদেলা Bangladesh University of Professionals’ (BUP বিএসএস (সম্মান) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অনুষদে এবং একমাত্র পুত্র সন্তান আনাস “আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে” একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন।

তবে শুধু যে তার প্রসংশা রয়েছে তা কিন্তু নয়; রয়েছে সমালোচনাও। সমালোচনার জবাবে আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, সমালোচনা থাকবেই সমালোচকরা মূলত আমার দুটি বিচ্যুতিগুলো ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পথের সন্ধান দেয়। সমালোচনাকে আমি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে নিজেকে সাধারন মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে উৎসর্গ করে দিয়েছি। আমি তাদের ভাগ্য উন্নয়নে সবসময় তাদের পাশে থাকতে চাই। এসময় তিনি আবেগ জরিত কন্ঠে বলেন, মহান করুনাময় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভোলার অভিভাবক বাংলার জীবন্তকিংবদন্তী ৬৯ এর মহানায়ক আমার প্রিয় নেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয় ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় আজ আমি এই জায়গায়। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মইনুল হোসেন বিপ্লব ভাই এবং ভোলা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে জনগনের মাঝে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুুত রয়েছি ইনশা’আল্লাহ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৬:০৬   ৩৪৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে সীমানা বিরোধের মামলায় ॥ ২১ বছর নির্বাচন বন্ধ মলংচড়া ইউনিয়নে
এবারও নির্বাচিত হলে আগের অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করবো: মোশারেফ হোসেন
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: মোহাম্মদ ইউনুস
ভোলায় দুর্যোগের সম্মুখিন হওয়া মানুষদের বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়: জেলা প্রশাসক
লালমোহনে ১২৬ কোটি টাকার বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা
আনারস ও চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোশারেফ- আজিজের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
মটরসাইকেল ও উড়োজাহাজ মার্কায় ভোট চাইলেন ইউনুছ-পলাশ
ঝড়ে পড়ে যাওয়া মাদরাসা ঘর এক মাসেও মেরামত হয়নি
বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সেলিম আর নেই
তজুমদ্দিনের মেঘনায় চিংড়ি মাছের রেনু আহরনের আড়ালে চলছে নানান প্রজাতির মাছের পোনা নিধন



আর্কাইভ