বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অফিস খরচের নামে অর্থ আদায়, পণ্য বিতরণে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডিলারদের অভিযোগ, অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। টিসিবির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালসহ শরিয়তপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠির ১২২ জন ডিলার আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পণ্য তোলেন। এরমধ্যে ৪১ জন নিয়মিত ডিলার। নিয়মিত ডিলারদের মধ্যে রোটেশন অনুযায়ী বরিশাল নগরীতে পাঁচজন, ভোলা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠিতে দুইজন করে ডিলার ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ডিলার জানান, সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৫ মে থেকে বরিশাল অঞ্চলে প্রয়োজনীয় চারটি পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি শুরু করে। ট্রাকে করে বিক্রির জন্য প্রতি ডিলারকে শুরুতে প্রতিদিন চার শ’ কেজি ছোলা, ছয় শ’ কেজি চিনি, ২৫০ কেজি মসুর ডাল এবং পুষ্টি ব্যান্ডের চার শ’ লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হয়েছে। ডিলাররা জানান, বাজারে তেলের চাহিদা থাকলেও পণ্য বিতরণ শুরুর প্রথম সপ্তাহ পরই সয়াবিন তেল দেয়া হয় অর্ধেক। অর্থাৎ প্রতি ডিলার এখন পাচ্ছেন দুই শ’ লিটার সয়াবিন। টিসিবির একাধিক নিয়মিত ডিলার অভিযোগ করে বলেন, নিয়ম হলো যেসব ডিলার নিয়মিত পণ্য বিক্রি করেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া। কিন্তু সে নিয়ম উপেক্ষিত হচ্ছে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে। ওই ডিলারদের অভিযোগ গত ৪/৫ বছরেরও যেসব ডিলার পণ্য তোলেননি, এবছর সেরকম ডিলারদের তালিকাভূক্ত করে পণ্য বিক্রির সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। রোটেশন অনুযায়ী ডিলাররা পণ্য পাওয়ার নিয়ম থাকলেও তা লঙ্ঘন করে পছন্দের ডিলারকে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট একাধিক জেলার ডিলাররা জানান, পণ্য বিক্রি করে তারা যে কমিশন পান তাতে অনেকসময় লোকসান হয়। তার ওপর আবার অফিসে চার শ’, শ্রমিকদের দুই শ’ টাকা করে বখরা দিতে হয়। যে ডিলার বখরা দেবেন না, তিনিই হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। শ্রমিকদের দুই শ’ টাকা নেয়ার ব্যাপারে শ্রমিক সর্দার মজিবুর রহমান বলেন, টন প্রতি ৬৫ টাকা মজুরি ধরা থাকলেও শ্রমিকরা পান ৫০ টাকা। ১৫ টাকা নেন শ্রমিক ঠিকাদার। তাই শ্রমিকরা ডিলারদের কাছ থেকে দুই শ’ টাকা বকশিস নিয়ে থাকেন।
এসব অভিযোগর ব্যাপারে টিসিবির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান মোঃ মাসুম হাওলাদার বলেন, ডিলারদের কাছ থেকে কোন টাকা না নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার পরেও কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পণ্য প্রদানে অনিয়ম কিংবা টাকা নেয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল বিভাগের টিসিবির পণ্য বিতরণে
কর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অফিস খরচের নামে অর্থ আদায়, পণ্য বিতরণে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডিলারদের অভিযোগ, অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। টিসিবির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালসহ শরিয়তপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠির ১২২ জন ডিলার আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পণ্য তোলেন। এরমধ্যে ৪১ জন নিয়মিত ডিলার। নিয়মিত ডিলারদের মধ্যে রোটেশন অনুযায়ী বরিশাল নগরীতে পাঁচজন, ভোলা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠিতে দুইজন করে ডিলার ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ডিলার জানান, সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৫ মে থেকে বরিশাল অঞ্চলে প্রয়োজনীয় চারটি পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি শুরু করে। ট্রাকে করে বিক্রির জন্য প্রতি ডিলারকে শুরুতে প্রতিদিন চার শ’ কেজি ছোলা, ছয় শ’ কেজি চিনি, ২৫০ কেজি মসুর ডাল এবং পুষ্টি ব্যান্ডের চার শ’ লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হয়েছে। ডিলাররা জানান, বাজারে তেলের চাহিদা থাকলেও পণ্য বিতরণ শুরুর প্রথম সপ্তাহ পরই সয়াবিন তেল দেয়া হয় অর্ধেক। অর্থাৎ প্রতি ডিলার এখন পাচ্ছেন দুই শ’ লিটার সয়াবিন। টিসিবির একাধিক নিয়মিত ডিলার অভিযোগ করে বলেন, নিয়ম হলো যেসব ডিলার নিয়মিত পণ্য বিক্রি করেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া। কিন্তু সে নিয়ম উপেক্ষিত হচ্ছে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে। ওই ডিলারদের অভিযোগ গত ৪/৫ বছরেরও যেসব ডিলার পণ্য তোলেননি, এবছর সেরকম ডিলারদের তালিকাভূক্ত করে পণ্য বিক্রির সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। রোটেশন অনুযায়ী ডিলাররা পণ্য পাওয়ার নিয়ম থাকলেও তা লঙ্ঘন করে পছন্দের ডিলারকে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট একাধিক জেলার ডিলাররা জানান, পণ্য বিক্রি করে তারা যে কমিশন পান তাতে অনেকসময় লোকসান হয়। তার ওপর আবার অফিসে চার শ’, শ্রমিকদের দুই শ’ টাকা করে বখরা দিতে হয়। যে ডিলার বখরা দেবেন না, তিনিই হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। শ্রমিকদের দুই শ’ টাকা নেয়ার ব্যাপারে শ্রমিক সর্দার মজিবুর রহমান বলেন, টন প্রতি ৬৫ টাকা মজুরি ধরা থাকলেও শ্রমিকরা পান ৫০ টাকা। ১৫ টাকা নেন শ্রমিক ঠিকাদার। তাই শ্রমিকরা ডিলারদের কাছ থেকে দুই শ’ টাকা বকশিস নিয়ে থাকেন।
এসব অভিযোগর ব্যাপারে টিসিবির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান মোঃ মাসুম হাওলাদার বলেন, ডিলারদের কাছ থেকে কোন টাকা না নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার পরেও কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পণ্য প্রদানে অনিয়ম কিংবা টাকা নেয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৩:৩৯ ৩৯৯ বার পঠিত