স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার চরফ্যাশনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক কলেজের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করছেন এম এ মাজেদ গংরা। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আবদুল্লাহ আল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করায় মাজেদ গংদেরকে বাঁধা দিলে তারা জমির প্রকৃত মালিক তহমিনা বেগম গংদেরকে ভয়ভীতি ও মামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকি দেয়। মাজেদ গংদের হুমকির ভয়ে ওই এলাকায় যেতে পারছে না বলে জমির মালিক তহমিনা গংরা। এক লিখিতভাবে ভূক্তভোগী তহমিনা বেগম এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশনের ১নং ওসমানগঞ্জ ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের মাকসুদ চেয়ারম্যান বাড়ীর এনএসআই কর্মকর্তা মৃত মোঃ জয়নুল আবেদীন ও তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের ক্রয় সূত্র ও ওয়ারিশ সূত্র পাওয়া প্রায় ৭ একর জমি একই বাড়ীর এম এ মাজেদ, জাফর ও বজলুর রহমান দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত জমির মধ্যে ১ একর ২৮ শতাংশ জমি আবদুল্লাহ আল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন। ওই জমি নিয়ে তহমিনা বেগম ও এম এ মাজেদ গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। স্থানীয় শালিস মিমাংসার মাধ্যমে এম এ মাজেদ গংদের কাছ থেকে জমি উদ্ধারে ব্যার্থ হয়ে তহমিনা গংরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা নং- চরফ্যাশন যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত দেং নং ৫০/১২ইং। বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমির উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু এম এ মাজেদ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আবদুল্লাহ আল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের নামে ভবন নির্মাণ করেন। ওই সময় তহমিনা বেগম বাঁধা দিলে মাজেদ গংরা তহমিনাকে হুমকি-ধামকি দেয়। বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে মাজেদ কলেজের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ শুরু করেন। এতেও তহমিনা গংরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও গণ্যামান্য ব্যক্তিবর্গকে জানান। কিন্তু মাজেদ আইনকে তোয়াক্কা না করে উক্ত জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান কাজ চালিয়ে যান। তহমিনা গংরা নির্মান কাজে বাঁধা দিলে মাজেদ ও তার লোকজন তহমিনাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন। জমির প্রকৃত মালিক তহমিনা বেগম ভয়ে উক্ত জমির কাছে যেতে সাহস পাচ্ছে না।
জমির প্রকৃত মালিক ভূক্তভোগী তহমিনা বেগম বলেন, এম এ মাজেদ, জাফর ও বজলু গংরা আমার ও আমার স্বামীর প্রায় ৭ একর জমি জোরপূর্বক দখল করে ভোগ করছে। আমরা একাধিকবার উক্ত জমি নিয়ে শালিস মিমাংসায় বসলে মাজেদ গংরা শালিস না মেনে উক্ত জমি জোরপূর্বক দখলে রাখে। নিরুপায় হয়ে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমির উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু মাজেদ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবদুল্লাহ আল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের নামে ১ একর ২৮ শতাংশ জমি দখলে রেখে সেখানে ভবন ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করছে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এবং আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। আমরা উক্ত জমি উদ্ধারের জন্য এমপি মহোদয়, পুলিশ প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এম এ মাজেদ বলেন, আমাদের জমি আমরা ভোগ করছি এবং সেখানে ভবন ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করছি। আমরা জয়নাল আবেদনী ও তহমিনা বেগমের কোন জমি দখল করি নাই।
বাংলাদেশ সময়: ০:৩৬:২০ ১৪১ বার পঠিত