স্বপ্নের ঠিকানা পাওয়ার অপেক্ষায় ভোলার আরও ১২’শ পরিবার

প্রচ্ছদ » জেলা » স্বপ্নের ঠিকানা পাওয়ার অপেক্ষায় ভোলার আরও ১২’শ পরিবার
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩



ছোটন সাহা ॥
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর অপেক্ষায় রয়েছেন আরও ১২’শ টি পরিবার। বুধবার (২৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালী উদ্বোধন করে সারাদেশের মত ভোলাতেও উপহারের ঘর তুলে দিবেন। এরমধ্যে ভোলা সদরে দেয়া হবে ৯০টি ঘর। এ ঘর দেয়া হলে সদর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ও সহকারি কমিশনার ভূমি মোঃ আলী সুজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, চতুর্থ পর্যায়ে ৯০টিসহ সদর উপজেলায় মোট ৬০২টি পরিবার ঘর পাবেন। এরই মধ্যে ৬০২ পরিবার ঘর পেয়েছেন। এছাড়া জেলায় তৃতীয় ধাপে ২ হাজার ৯১৩টি পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে এবং চতুর্থ ধাপে আরও ১২৩৬টি ভূমিহীন পরিবার ঘর পাবেন।

---

এদিকে ভোলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে ভূমিহীনদের জীবন-জীবিকা। তারা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। স্বাভাবিক জীবন পেয়ে হাসি-আনন্দে ভরে উঠেছে তাদের ঘর সংসার। ছেলেদেরও কারাচ্ছেন পড়াশুনা। নদী ভাঙ্গনে ভিটাহারা এসব পরিবারগুলো নতুন ঘর পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। এদিকে ভোলা সদর উপজেলায় নেই কোন ভূমিহীন পরিবার। আর তাই শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হচ্ছে উপজেলাকে।
ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের রিংকু বেগম। এক সময় তার ঘরভিটা থাকলেও তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মাথা-গোঁজার ঠাই নিতে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের জমিতে। কিন্তু স্বামীর মাছ ধরার টাকায় নতুন করে ঘর নির্মান করতে পারেনি তিনি। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে রিংকুর সংসার।
রিংকু বেগম বলেন, আগে নদীর পাড়ে থাকতাম, সেই ঘরও মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। অন্যের জমিতে ভাড়া করে থাকতাম। স্বামী জেলের কাজ করে। কিন্তু সে টাকায় সংসারের চলতো না। নতুন ঘর তোলার কোন সামর্থ ছিলোনা। এখন ঘর পেয়ে আমরা অনেক খুশি। একই অবস্থা যেন কাকলী রানীর। তিনিও ছিলেন ভূমিহীন। এখন ঘর পেয়ে অনেক খুশি তিনি। পরিবার নিয়ে ভালো আছেন তিনি।
শুধু রিংকু বেগম কিংবা কাকলী রানী নয়, তার মত অনেকেই পেয়েছেন উপহারের ঘর। এসম ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে তাদের জীবন-জীবিকা। ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা করানোর পাশাপাশি পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তারা। নতুন ঘর পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা পাকা ভবনে বসবাস করছেন এমন সামর্থ ছিলো এসব ভূমিহীনদের। এই ঘর তাদের দিয়েছে নিরাপত্তা। জীবন-জীবিকাও যেন পাল্টে গেছে। তারা স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।
নতুন ঘর পেয়ে ভূমিহীনদের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা ঘর পেয়েছেন তারা অনেক খুশি। যারা পাওয়ার অপেক্ষায় তাদের মাঝেও আনন্দের বন্যা বইছে।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভোলার সাত উপজেলায় ৫ হাজার ৯২২ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়া হবে। যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ঘর পেয়েছেন ৬০২টি পরিবার। এ ঘর পাওয়ায় এটি এখন শতভাগ ভূমিহীন মুক্ত উপজেলায় পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৯:৩১   ২৬২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোলায় সমাবেশ
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে
ভোলায় ৬ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের স্মারকলিপি
ভোলায় তীব্র তাপদাহে অস্থির জনজীবন
ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে অনিশ্চয়তা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোলায় তিন উপজেলার ৩৮ প্রার্থীর সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ
ভোলায় কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না ভোলার বিএমইটি অফিসে॥ প্রতিদিন ঘুষের আয় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা!!
আপনাদের আমানত ভাল পাত্রে জমা রাখবেন: চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ মিয়া
ভোলায় ফিল্মি স্টাইলা অপহরণ ॥ কতিপর উদ্ধার



আর্কাইভ