চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
পুকুর সেচকে কেন্দ্র করে অসহায় এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। চরফ্যাশন পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত বাহার চৌধুরীর বাড়িতে বুধবার সকালে খোকনের স্ত্রী তিষা (২৬) কে একই এলাকার প্রতিবেশি হারুন কাজির নেতৃত্বে তাঁর স্ত্রী হাজেরা বেগম ও ছেলে মো.উমায়ার মুসান্না লাঠিঁসোটা দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে আহত করে বলে ভূক্তভোগী অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় আহত ওই নারীকে তাঁর স্বজনরা খবর পেয়ে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান।
ভূক্তভোগী তিষা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হারুন কাজি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা তিষাদেরকে তাঁদের বসতবাড়ি থেকে উৎখাতের পায়তারা করছেন। যার ফলে কিছুদিন পর পর তিষা ও তাঁর পরিবারের উপর বিভিন্ন কৌশলে মারধরসহ অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে প্রতিপক্ষরা। তিষা আরো বলেন, আমাদের ১২ শতাংশের বসতবাড়িসহ ৩ অংশের একটি পুকুর রয়েছে আমার বাবা নেই স্বামীও বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন আমার উপর এ নির্যাতন চালায়। প্রতিবেশি হারুন কাজি ও তাঁর ছেলে মুসান্না তাদের এক অংশের মধ্যে পাকা ঘর নির্মান করছে। ঘটনার সময় তাঁরা আমাদের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ বা সমহ্নয় ছাড়াই পুকুর সেচা শুরু করে। আমি পুকুর সেচের বিষয়টি জানতে গেলে তাঁরা আমাকে ধারালো দা, সেনি ও লাঠিঁসোটা নিয়ে তেড়ে এসে মারতে মারতে অচেতন করে ফেলে। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এছাড়াও হারুন কাজির মেয়ে তোফা তিষার সাড়ে ৩বছরের শিশু পুত্রকে পুকরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে হত্যা করে বলেও তিষা ও তাঁর স্বামী খোকন অভিযোগ করেন।
তাঁরা বলেন, গত ১৯সালে তাঁদের শিশু পুত্র খেলতে গিয়ে পুকুর পাড়ে গেলে হারুনের মেয়ে তোফা ওই শিশুপুত্রকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিলে তাঁদের শিশু পুত্র পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। এঘটনা পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে স্থানিয়ভাবে সমাধা করা হয় বলেও জানান তাঁরা। এ বিষয়ে হারুন কাজি বলেন, পুকুরে আমার অংশে আমি ঘর নির্মাণ করছি। তবে আমি বা আমার ছেলে তাকে কোনো মারধর করিনি। তবে আমার ছেলের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয়।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া বলেন, এমন বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। ভূক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৭:২২ ৩৬৩ বার পঠিত