চরসামাইয়ায় জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ

প্রচ্ছদ » অপরাধ » চরসামাইয়ায় জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ
মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১



স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বড় চরসামাইয়া গ্রামে এছহাক জব্বার গংদের বিরুদ্ধে জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ করেছেন একই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউসুফ।
মোঃ ইউসুফ অভিযোগ করে বলেন, এছহাক জব্বার আমার ১ একর ১৪ শতাংশ জমি ভূয়া জাল দলিল করে পরচায় নাম উঠায়। তারপর থেকেই ইছহাক এ জমি বিক্রয় করা ও জমিতে ঘর উত্তোলনের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। সর্বশেষ ইছহাক জব্বার ভুয়া দলিল দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মাওলানা রুহুল আমিনের কাছে ৪০ শতাংশের জমি বিক্রয় বাবদ বায়নার টাকা গ্রহণ করে বায়না চুক্তি করে যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমার স্ত্রী আনোয়ারা বাদী হয়ে জাল দলিল বাতিল ও প্রতারণার ধারায় ২টি মামলা দায়ের করেন যা আদালতে বর্তমানে চলমান। জমির দলিলের জাল-জালিয়াতির মামলাটি বর্তমানে সিআইডির তদন্তাধীন রয়েছে।

---

এসব মামলার প্রেক্ষিতে আমার স্ত্রী গত ২৯-৯-২০২১ইং তারিখে ভোলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, ভোলা সদরে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিগ্রীর দাবিতে আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত গত ২১-১০-২১ইং তারিখে জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের পরে ইছহাক গংরা আরো বেপরোয়া হয়ে জমি দখলের পাঁয়তারা শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা কৃত জমি দখলের উদ্দেশ্যে ইছহাক জব্বারের নির্দেশনায় মাওলানা রুহুল আমিন এর মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞাকৃত জমিতে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করার ঘোষণা দেন। ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ওয়াজ মাহফিলের আড়ালে জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে জমি দখল করা।
ওয়াজ মাহফিলের নামে ইছহাক গংদের জমি দখলের পাঁয়তারা শুরু হওয়ার পর আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম গত ৩০-১১-২১ইং তারিখে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভোলা সদরে আবারো একটি নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভোলা সদর নির্দেশনা প্রদান করেন যে অত্র আদালতের বিগত ২৯-৯-২১ইং তারিখের স্থিতিঅবস্থার আদেশ বজায় রাখার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ভোলা সদর মডেল থানাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
ইসহাক জব্বারের ভুয়া জাল দলিলের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ জমি ক্রয়ের জন্য বায়না চুক্তি করা এবং ওয়াজ মাহফিলের মূল আয়োজক মাওলানা রুহুল আমিনের কাছে ওয়াজ মাহফিলের নামে জমি দখলের পায়তারা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা রুহুল আমিন বলেন, আমি ইছহাক জব্বারের সাথে বায়না চুক্তি করেছি এটা সত্য; কিন্তু ওয়াজ মাহফিলের সাথে জমি দখলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি মাত্র দু’দিনের জন্য উক্ত জমিতে ওয়াজ মাহফিল করতে চাই। মাহফিল শেষ হয়ে গেলেই আমি সেখানের সব স্থাপনা খুলে ফেলব। জমি দখলের পায়তারার অভিযোগটি সত্য নয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইছহাক জব্বারের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। ইসাক জব্বার মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় ফোন করে ও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২২:২৭:২০   ২৭৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


পশ্চিম ইলিশায় অন্যের কবরস্থানে জেলা পরিষদের নেমপ্লেট লাগিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা : বাধা দেয়ায় ১জনকে পিটিয়ে জখম
মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দৌলতখানে দাবিতে মানববন্ধন
মনপুরায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই জেলে ট্রলার ও জাল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি
ভোলায় ডিবির অভিযানে অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, অপহৃতরা উদ্ধার
তজুমদ্দিনে রাস্তা চওড়া করার নামে কাটা হবে ৮৫৬টি গাছ, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ
ইডেন ছাত্রীর বিয়ের দাবীতে মিথ্যা অপপ্রচার থেকে মুক্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
সাময়িক বরখাস্ত হলেন বিএমইটি ভোলার সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন
মাদ্রাসাছাত্রীকে তালাবন্ধ করে পরিবারসহ প্রেমিক লাপাত্তা
বেনজীরের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ভোলায় সুজনের সমাবেশ-স্মারকলিপি
জমিজমা বিরোধ কেন্দ্র করে ভাই ও ভাইর স্ত্রীর উপর হামালার অভিযোগ কমিশনার কবিরের বিরুদ্ধে



আর্কাইভ