ইলিশায় মাছ কুড়াতে গিয়ে দুই চাচাতো ভাই বোনের মৃত্যু

প্রচ্ছদ » জেলা » ইলিশায় মাছ কুড়াতে গিয়ে দুই চাচাতো ভাই বোনের মৃত্যু
শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১



রাকিব হাওলাদার, ইলিশা ॥
ভোলায় পুকুর পারে মাছ কুড়াতে গিয়ে একই বাড়ির রেহানা (৫) ও জাহিদ (৩) নামের দুই চাচা ভাই বোনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার দক্ষিণ ইলিশা ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড কালুমিয়ার হাট গ্রামের হামিদউল্লা মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাড়ির মোঃ খোকন মাঝির বড় মেয়ে রেহানা ও তার চাচো ভাই জসিম মাঝির ছোট ছেলে জাহিদ এর মৃত্যু হয়। রেহানা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী।

---

স্থানীয়রা জানান, আজ সকালে জসিম মাঝি তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে জালদিয়ে মাছ ধরতে যায়। তখন ওই বাড়ি ও তার পাশের বাড়ির ছেলে মেয়েরা তার সাথে মাছ কুড়াতে থাকে। মাছ ধরা শেষে জসিম মাঝি জাল ও মাছ নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। আর অন্য ছেলে মেয়েরাও চলে যায়। কিন্তুু রেহানা ও জাহিদ তখনও খেলাধুলার ছলে পুকুর পারে মাছ কুড়াতে থাকে। এদিকে জসিম মাঝি চলে আশার ঘন্টা দুইএক পরে দুপুর ১২ টার দিক বাড়িতে তাদের খোঁজাখুজি পরলে জসিম মাঝির মেয়ে ও মৃত জাহিদ এর বড় বোন হাফছা তাদের পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা ধারনা করছেন মাছ কুড়ানোর সময় জাহিদ পানিতে পড়ে গেলে রেহানা তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনিও পানিতে পরে যায় এবং তাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করছেন।
ভোলা সদর হাসপাতালে আরএমও ডাঃ নিরুপম সরকার দুই চাচাতো ভাই বোনের মৃত্যু ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, আজ ১২ টার দিকে ইলিশা ইউনিয়ন থেকে পানিতে পড়া ৫ বছর ও ৩ বছর বয়সের দুই শিশুকে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, দ্বীপ জেলা ভোলার চারপাশে নদী ও জেলা শহরের  প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পুকুর ও ডোবা রয়েছে। ইদানীংকালে পরিবারের সচেতনতার অভাব ও অসাবধানতার কারনে জেলার ৭ উপজেলায় পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দক্ষিণ ইলিশা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফকরুল আলম বলেন, পরিবারের লোকজনের অসাবধানতার কারনেই আজ দুটি শিশুর জীবন চলে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক। আগের কালে আমাদের বাপ, চাচারা জোরপূর্বক সাঁতার শিখাতেন। এখন সাঁতার শিখানোর তো দূরের কথা পোলাপান কই আছে তার খোঁজ খবরও নেন না পরিবার।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি শিশুকে সাঁতার শিখানো বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা উচিত। এবং পরিবারের সকলকে সচেতন করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা উচিৎ। তবেই এই পানিতে পরে শিশু মৃত্যুর হার কমবে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, দক্ষিণ ইলিশার কালুমিয়ার হাট গ্রামের দুই শিশুর পানিতে পরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ না থাকায় শিশুদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৬:২৩   ৫৭৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোলায় সমাবেশ
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে
ভোলায় ৬ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের স্মারকলিপি
ভোলায় তীব্র তাপদাহে অস্থির জনজীবন
ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে অনিশ্চয়তা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোলায় তিন উপজেলার ৩৮ প্রার্থীর সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ
ভোলায় কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না ভোলার বিএমইটি অফিসে॥ প্রতিদিন ঘুষের আয় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা!!
আপনাদের আমানত ভাল পাত্রে জমা রাখবেন: চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ মিয়া
ভোলায় ফিল্মি স্টাইলা অপহরণ ॥ কতিপর উদ্ধার



আর্কাইভ