ভোলার লঞ্চ ঘাটগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ঢল

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলার লঞ্চ ঘাটগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ঢল
সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১



আদিল হোসেন তপু ॥
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দ্বীপজেলা ভোলার লঞ্চ ঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভীড় বেড়েছে। এই সব লঞ্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সংক্রান্ত বিধি না মেনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে প্রতিনিয়ত যাত্রীরা আসছে। মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় মানার ব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কিংবা বিআইডব্লিউটিএ ছিলো চরম উদাসীন। সোমবার দুপুরে ঢাকা সদর ঘাট থেকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে ৪টি লঞ্চ ঘাটে আসে। লঞ্চগুলোতে সরকার নির্ধারিত নিয়ম মেনে প্রতিটি লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ছাড়ার কথা থাকলেও প্রতিটি লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি নামেনে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাটে আসে। এতে করে করোনা ঝুঁকি বেড়ে গেছে। তবে সাধারণ যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে পেরে অনেক আনন্দিত বলে জানান। আর লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতিটি লঞ্চ ছাড়ার অনুমতি দিচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

---

দ্বীপজেলা ভোলার সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। স্বাভাবিক সময় এই রুটগুলোতে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও ঈদের সময় লঞ্চে যাত্রীর চাপ ভেড়ে যায় কয়েকগুন। ঈদকে সামনে রেখে এবার সংক্রমণ ঝূঁকি উপেক্ষা করেই প্রতিদিন হাজারো যাত্রী লঞ্চ যোগে বাড়ি ফিরছে পরিবারে সাথে ঈদ করতে। যদি লঞ্চগুলোতে সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশ বা অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চচলা করার কথা থাকলেও কোনভাবেই তা মানতে দেখা যায়নি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে। কোন কোন লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতায় চেয়েও নেয়া হয়েছে কয়েকগুন যাত্রী। যাত্রীদের ভিড়ে তাই উপেক্ষিত হয় স্বাস্থ্যবিধি। আর যাত্রীরা বলছেন দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে নিরাপদে ভাড়ি ফিরতে পেরেই তারা আনন্দিত।
ভোলার বাংলাবাজারের হাবিবুর রহমান জানান, সকলা ৭টায় দোয়েল পাখি লঞ্চে আসছি। যাত্রী নেয়ায় কথা লঞ্চটি সর্বোচ্চ ৫শ’। সেখানে ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ছেড়ে আসে। প্রচুর ভোগান্তি নিয়ে এক রকম ঝূঁকি নিয়ে ভাড়ি ফিরলাম পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য।
ভোলা সদর রোডের বাসা নয়ন ও রাইহান দুই বন্ধু জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে ভাড়িতে আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। তবে স্বাস্থ্যবিধি কোন ভালাই নেই। করোনা যে লঞ্চে আছে তা মনেই হয়নি। ভাড়া আগের মতো থাকলেও সিটের পরিমাণ থেকে যাত্রী পরিমান ছিলো অনেক বেশি।
ঈদে বাড়ি ফেরা জুঁই নামে যাত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেটাই মাথায় রেখেই লঞ্চে উঠলাম। লঞ্চ ভাড়া আগের মতোই ছিলো। আসতে কোন সমস্যা হয়নি।
তবে অনেক যাত্রী অভিযোগ করে জানান, ঘাটে প্লুন্টন কম থাকায় যাত্রীদের উঠানামা করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। গাদাগাদি করে ঘাট থেকে নামতে হচ্ছে। সেজন্য ঘাটে প্লুটনের পরিমাণ ভাড়ানো উচিত।
গ্রীনলাইন সার্ভিস লক্ষন দাশ ম্যানেজার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি লঞ্চ ঢাকা থেকে ছাড়া হচ্ছে। ছাড়ার আগে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা চেক করে তার পরে লঞ্চ ছাড়ে। আর ভাড়া আগের মতোই নেয়া হচ্ছে বলে জানান।
আর বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নৌ-বন্দর ট্রাফিক সুপারভাইজার রকিবুল হাছান জানান, নৌ-পথে সকল যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক পরে চলচলে জন্য বলা হয়েছে। তবে অধিকাংশ যাত্রীরাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা। তাই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলছি। তারা ব্যবস্থা নেবে। ভোলা ঢাকা নৌ-রুটে ১৮ ঘাট থেকে অর্ধশতাধিক লঞ্চ চলাচল করে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৪:৪৩   ৩৬৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোলায় সমাবেশ
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে
ভোলায় ৬ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের স্মারকলিপি
ভোলায় তীব্র তাপদাহে অস্থির জনজীবন
ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে অনিশ্চয়তা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোলায় তিন উপজেলার ৩৮ প্রার্থীর সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ
ভোলায় কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না ভোলার বিএমইটি অফিসে॥ প্রতিদিন ঘুষের আয় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা!!
আপনাদের আমানত ভাল পাত্রে জমা রাখবেন: চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ মিয়া
ভোলায় ফিল্মি স্টাইলা অপহরণ ॥ কতিপর উদ্ধার



আর্কাইভ