অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: লালমোহনে কাল্পনিক অভিযোগে মামলা করে নিরীহ মানুষদের হয়রানি ও আদালতের সময় নষ্ট

প্রচ্ছদ » অপরাধ » অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: লালমোহনে কাল্পনিক অভিযোগে মামলা করে নিরীহ মানুষদের হয়রানি ও আদালতের সময় নষ্ট
শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০



নিজস্ব প্রতিবেদক, লালমোহন থেকে ফিরে ॥
আদালতে কোন ব্যাক্তি মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়েরের পর সে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানীত হলে বাদীকে বাংলাদেশ দন্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তি প্রদান করা হয়। এটা জেনে ও লালমোহনের জনৈক ফিরোজগং মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে ৫ জন মৃত ব্যক্তিসহ ৩৫জন নিরীহ ব্যক্তির নামে লালমোহন সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা করে বিবাদীদের হয়রানি করছে এবং আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করছ।

---

প্রকাশ ভোলার লালমোহন বাজারের মোল্লা জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম মরহুম হাফেজ মো: ওয়াজেদউল্লাহ ১৯৪৭ সনের ১৩ ই জুন এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দু’টি দলিলে প্রায় আড়াই একর জমি ক্রয় করে বর্তমান লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হাফেজ মহলের প্রতিষ্ঠা করেন। (উক্ত জমি লালমোহনের বর্তমান মেহেরগঞ্জ মৌজার আর এস ৩৩১ এবং এসএ ১২৫৪ খতিয়ান ভুক্ত) তার ক্রয় করা জমির স্বাক্ষী ছিলেন তৎকালীন সময়ের স্থানিয় সংসদ সদস্য মরহুম আবদুর রশিদ মাষ্টারসহ বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। ১৯৭২ সনে হাফেজ মো: ওয়াজেদ উল্লাহর মৃত্যুর পর তার উত্তরসুরীরা এখানে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করে আসছেন। লালমোহন পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে লামোহন ইউনিয়ন থেকে বর্তমান পৌরসভায় রয়েছে তাদের নামে হোল্ডিং নাম্বারসহ সকল নাগরিক ইউটিলিটি সংযোগ।
অথচ গত কয়েক সপ্তাহ আগে জনৈক মো: ফিরোজ গং উক্ত জমি ও সেখানকার বাড়ী ঘর তার দখলীয় কাল্পনিক দাবী করে প্রকৃত মালিক ও বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে লালমোহন সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে (মামলা নং ৯১/২০২০)। হাফেজ মহলের বাসিন্দা হাফেজ মো: ফয়েজউল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মো: মোশারেফ জানান ৭২ বছর যাবত আমাদের মরহুম দাদা হাফেজ মো: ওয়াজেদউল্লাহ এবং তার মৃত্যুর পর আমার পিতা ,চাচা ও তাদের সন্তানগণ বংশ পরম্পরায় শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করে আসছি। কোন এক ফিরোজ যাকে আমরা চিনি ও না জানিও না সেই ব্যক্তি একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ বর্ননা করে আদালতে মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি ও সম্মানহানী করছে। অন্যদিকে আদালতের মূল্যবান সময় ও নষ্ট করছে। আমরা এই মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে উক্ত মামলার বাদী ধান্দাবাজ ফিরোজ গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
স্থানিয় পৌর কাউন্সিলর মাসুদ পাটোয়ারী জানান মরহুম হাফেজ মো: ওয়াজেদউল্লাহ সাহেব লালমোহনের একজন বিশিষ্ট এবং সম্মানীয় মানুষ ছিলেন। আমার জানামতে ১৯৪৭ সন থেকে তিনি এবং তার মৃত্যুর পর তার প্রতিষ্ঠিত হাফেজ মহলে তার উত্তরসুরীরা বসবাস করে আসছেন। তাদের নামে রয়েছে লালমোহন পৌরসভার হোল্ডিং এবং পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ। এ প্রতিবেদক লালমোহনে অবস্থান করে  বক্তব্য নেয়ার জন্য সেই বাদী মো: ফিরোজ  গংকে খুজে পাননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৬:০১   ৩৪৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


চরফ্যাসনে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ভোলায় ১ হাজার পিচ ইয়াবাসহ আটক ১
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ॥ আহত-৩০
ভোলায় অন্যের ভোগদখলীয় জমির গাছ কেটে দখলের চেষ্টা
পুলিশ চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা, অবশেষে আটক
তারা কখনো জিন বাবা- কুফরি বাবা, আবার কখনো কালী বাবা
পশ্চিম ইলিশায় অন্যের কবরস্থানে জেলা পরিষদের নেমপ্লেট লাগিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা : বাধা দেয়ায় ১জনকে পিটিয়ে জখম
মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দৌলতখানে দাবিতে মানববন্ধন
মনপুরায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই জেলে ট্রলার ও জাল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি
ভোলায় ডিবির অভিযানে অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, অপহৃতরা উদ্ধার



আর্কাইভ