ভোলায় ঈদে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৭০১ ভূমিহীন পরিবার পেলো নতুন বাড়ি

প্রচ্ছদ » জাতীয় » ভোলায় ঈদে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৭০১ ভূমিহীন পরিবার পেলো নতুন বাড়ি
বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২



আদিল হোসেন তপু / ইমতিয়াজুর রহমান ॥
ভিডিও কনফারেন্সে সারাদেশের ন্যায় ভোলাতেও ৭০১ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের পাকা ঘরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ঈদে আগে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নতুন পাকা বাড়ি পেয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস বইছে ভোলার ৭০১ পরিবারের মাঝে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ভোলা সদর উপজেলা হল রুমে ক শ্রেণীর পর্যায়ে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ও চরসামাইয়া ইউনিয়নে ৪০টি ঘরের কাজ স¤পন্ন করে তালিকাভুক্ত পরিবারকে জমিসহ ঘরে রেজিস্ট্রার দলিল, নামজারির কাগজসহ ঘরের চাবি হস্তান্ত করেন ভোলার জেলা প্রশাসক মো.তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। এছাড়াও জেলার ৬ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন উপকারভোগীদের হাতে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

---

এসময় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে ভোলা সদর উপজেলায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ২০২২ টি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে মধ্যে জেলায় ৭০১টি ঘর নির্মাণ শেষে প্রধান মন্ত্রীর উদ্বোধনের পরে আমরা হস্তান্তর করেছি। পর্যায়ক্রমে বরাদ্দকৃত অন্য ঘরও ভূমিহীন ও হতদরিদ্রদেরকে বুঝিয়ে  দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী জুনের মধ্যে বরাদ্দকৃত অবশিষ্ট ঘর উপকার ভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুর কাদের মজনু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ আলী সুজা প্রমুখ।
নতুন পাকা বাড়ি পেয়ে তৃতীয় লিঙ্গের সাথী বলেন, আমরা সমাজে যাযাবরের মত বাসবাস করি। নিজেদের স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই। বাড়িভাড়া নিতে গেলেও আমাদের কেউ ভাড়া দেয় না। এখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঈদ উপহার হিসেবে একটা পাকা বাড়ি দিছে। এতে আমি অনেক অনেক খুশি হইছি। আমার মতো ভোলায় আরও অনেক হিজরা আছে তাদের ও কোন থাকার নির্দিষ্ট স্থান নেই। আমি চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে  তাদেরও মাথাগোঁজা ঠাই হোক।
একই রকম হারেছ মিয়া বলেন, আমি জেলে কাজ করি। নদীভাঙ্গনে জমি ঘরবাড়ি সব লইয়া গেছে এহন থাহি বেড়ির উপরে। তাও এইবার নতুন বেড়ি আইয়া ঘর উঠাইয়া দিছে। এখন প্রধানমন্ত্রী আমারে টিউবয়েল, টয়লেট সহ পাকা ঘর দিছে এখন বন্য তুফানেও ডর নাই।
হনুফা বেগম বলেন, স্বামী মইরা যাওনের পরে এক পোলা লইয়া মাইনসের জনিত ওরকাইত আছিলাম। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে হাসিনা বিবি আমারেও একটা ঘর দিছে। হাসিনা বিবি ভালো থাহুক এক কামনা করি।
উল্লেখ্য, প্রতিটি ঘরের সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, রান্নাঘর ও টয়লেটের ব্যবস্থা। তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা।
দৌলতখানঃ
মুজিববর্ষ ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র উপহার হিসেবে দৌলতখানে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্ধোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় পর্যায়ের উপজেলায় নির্মিত ২৩১টি ঘরের মধ্যে ১৭টি ঘরের জমি, দলীল ও ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এক যোগে হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।
দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের সঙ্গে একটি রান্নাঘর, একটি সংযুক্ত টয়লেট ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়েছে। পাকা ঘরের দুই শতক জমির মালিকানাও পেয়েছেন উপকারভোগী ব্যক্তিরা।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদের’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহুয়া আফরোজ, পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান সহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও শিক্ষকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে এমপি মুকুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের মতো দৌলতখান উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে ২৩১টি অসহায়, দরিদ্র, ভূমিহীন, গৃহহীন, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তাদের ঘর উপহার দিয়েছেন।  তিনি আরও বলেন, ঘরগুলো নির্মাণে প্রশাসন উন্নতমানের সামগ্রী ব্যবহার করে এসব ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। উপকারভোগীরা কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই অনেক বছর ধরে এসব ঘরে বসবাস করতে পারবেন।
তজুমদ্দিনঃ
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে তজুমদ্দিনে জমিসহ ঘর পেলো ৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের ৪৯২টি উপজেলায় এই ঘরের উদ্বোধন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলে উপজেলার শম্ভুপুর ও চাঁদপুর ইউনিয়নের ৪৯টি ঘরের চাবি ও দলিলপত্র আনুষ্ঠানিক ভাবে সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মরিয়ম বেগম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দুলাল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাসেদ খান, চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ কিরন, সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিশু, শম্ভুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া, চাঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের এছাড়াও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযোদ্ধা ও সকল সুবিধোভোগীরাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১:৪৮:০৭   ৪৩৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


শান্ত-মুশফিকের রেকর্ড জুটিতে দাপুটে জয় বাংলাদেশের
অষ্ট্রেলিয়া ডে পুরষ্কার পেলেন নেহাল নাফসি রুপাই
আজ ভোলায় আসছেন শিল্পমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
এখন দেখার বিষয় ইউরোপ আমেরিকা কী কার্ড ফেলে: ব্যারিস্টার পার্থ
জয়ে শুরু বরিশালের
শপথ নিতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বঙ্গভবনে
আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন
একটি কেন্দ্রে একটি জাল ভোট পড়লেও ঐ কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে: ভোলায় ইসি আহসান হাবিব
ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে সরবরাহ শুরু হচ্ছে আজ
ঢাকাস্থ ভোলা জার্নালিস্টস ফারামের নতুন কমিটি



আর্কাইভ