স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের একই তারিখে একই স্মারকে দুই জনের নামে ইজারা পত্র নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কোনটি সত্য ? কোনটি টেম্পারিং করা হয়েছে এমন প্রশ্নে জবাবে বরিশাল নদী বন্দর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান সিরাজুল ইসলাম নামে কাউকে তারা ইজারার ওয়ার্ক অর্ডার দেন নি। সুবাহানা এন্টার প্রাইজের নামে মিজানুর রহমানকে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। অপরটি টেম্পারিং করা হতে পারে বলেও তিনি জানান। অপরদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘাটটির বৈধ ইজারাদারকে হটিয়ে দখল করার একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। একই তারিখের একই স্মারকে ইজারার চিঠির বৈধতা বিষয়ে খোজখবর নিচ্ছেন বলেও জানান।
এদিকে একই তারিখে, একই স্মারকে, একই ব্যাক্তির স্বারকৃত একই নির্দেশনার দুই নামের ইজারার চিঠি নিয়ে ইলিশা লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার হিসেবে দাবি করছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম মিয়া সিরাজ। অন্যজন হচ্ছেন র কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (শাহীন)। তার প্রতিষ্ঠানের নাম সুবাহানা এন্টারপ্রাইজ। ওই দুই ব্যাক্তির চিঠি ইস্যু কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নাম হচ্ছেন বরিশাল নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। ২৪ /০৭/২০১৮ তারিখের স্বাক্ষরিত এমন চিঠি সাংবাদিকদের দেয়ার পাশাপাশি প্রশাসনকেও দেয়া হয়। একই স্মারকে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় আপনি ইজারামূল্য, আয়কর ও ভ্যাট সমুদয় অর্থ পরিশোধ করায় আপনাকে আগামী ৩১/৭/২০১৮ তারিখ থেকে ২৯/৮/২০১৮ তারিখ পর্যন্ত ৩০ দিন মেয়াদে বর্নিত ঘাট হতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত শুলাক/চার্জ আদায়ের জন্য অনুমতিসহ কার্যাদেশ দেয়া হলো। ওই চিঠি জেরা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভোলা থানার ওসিকে কপি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২১:২৬ ৫১৭ বার পঠিত