ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত শিশু আলিফা বাঁচতে চায়

প্রচ্ছদ » নারী ও শিশু » ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত শিশু আলিফা বাঁচতে চায়
শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪



---

লালমোহন প্রতিনিধি ॥

ফুটফুটে শিশু মোসা. আলিফা। বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। এখনো দুনিয়ার কিছুই বুঝার বয়স হয়নি তার। বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়ার স্বাদও বুঝে না শিশু আলিফা। যে বয়সে পুরো পরিবার মাতিয়ে রাখার কথা সে বয়সেই হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে আলিফা।

মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সেই তাকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালাতে হচ্ছে। এটি কিসের সংগ্রাম তাও ঠিকঠাক বুঝে না আলিফা। তবে সবই বুঝেন তার পরিবারের লোকজন। কারণ ছোট্ট আলিফার কচি শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। শিশু মোসা. আলিফা ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের চরপাতা এলাকার মো. জামালের মেয়ে।

ওই শিশুর মামা মো. সোহেল মাহমুদ জানান, পাঁচ মাস আগে হঠাৎ প্রচ- জ্বরে আক্রান্ত হয় আলিফা। এরপর তাকে লালমোহনের বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। তবুও কিছুতেই আলিফা সুস্থ হচ্ছিল না। শেষমেশ চিকিৎসক পরামর্শ দেন ঢাকায় নেওয়ার। পরামর্শ অনুযায়ী আলিফাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডাক্তার দেখাই। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আলিফার ব্লাড ক্যান্সার শনাক্ত হয়।

এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আলিফা। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেখানে তার কেমোথেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা চলছে।

মো. সোহেল মাহমুদ জানান, আলিফার বাবা আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল না। তিনি চট্টগ্রামে বালুর জাহাজে মাসিক পনেরো হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন। তবে এরই মধ্যে গত পাঁচ মাসে আলিফার চিকিৎসায় বাড়ির বাগানের গাছ বিক্রির টাকা এবং আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া সহযোগিতায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়ে গেছে। এখন আর কোনোভাবেই টাকা জোগাড়ের সাধ্য নেই।

তবে চিকিৎসক বলেছেন; আলিফার পুরো চিকিৎসায় অন্তত বারো লাখ টাকার মতো খরচ হবে। এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা না পেলে অকালেই ঝরে যাবে আলিফার জীবন। তাই সবার কাছে অনুরোধ করছি আলিফাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য।

ক্যান্সার আক্রান্ত ওই শিশুর মা মোসা. নাজমা বেগম বলেন, আলিফাকে নিয়ে আমার মোট তিন সন্তান। আলিফাই সবার ছোট। ওর বাবার আর্থিক অবস্থা তত ভালো না। আলিফার ক্যান্সার আক্রান্তের খবর শুনে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। ডাক্তার জানিয়েছেন আলিফার চিকিৎসায় দরকার হবে অন্তত বারো লাখ টাকা। আমি আমার এই ফুটফুটে ছোট্ট মেয়েটাকেও হারাতে চাই না। তাই অনুরোধ করছি; মানবিক দিক থেকে হলেও যেন আমার মেয়ে আলিফার চিকিৎসায় সবাই এগিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ জানান, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সরকারিভাবে অনুদানের ব্যবস্থা রয়েছে। ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।

বাংলাদেশ সময়: ০:৫৯:০৯   ৯১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

নারী ও শিশু’র আরও খবর


ইডেনের ছাত্রীর ৫ দিন ধরে অনশন, পালিয়েছে প্রেমিক
অকালেই নিভে গেল শিশু সামিয়ার জীবন প্রদীপ
ভোলায় যৌতুকের মামলা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিলো স্বামী ॥ শিশু সন্তান নিয়ে দুশ্চিতায় হাফছা
চরফ্যাশনে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
বিয়ের দাবিতে চরফ্যাশনে প্রেমিকের বাড়িতে ইডেন কলেজ ছাত্রীর অনশন
চরফ্যাশনে হাসপাতালে গৃহবধূর মৃত্যু সংবাদেই স্বামীসহ সবাই লাপাত্তা
নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে দুই খালাতো ভাইয়ের মৃত্যু
ভোলায় নারী উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল
গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে গৃহবধূর মৃত্যু, চিকিৎসার অবহেলায় অভিযোগ
ওয়েষ্টার্নপাড়ায় ব্যাংক কর্মকর্তা স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ॥ স্বামী আটক



আর্কাইভ