তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥
ভোলার তজুমদ্দিনে পাওনা টাকা চাওয়ায় পিতা-মাতার উপর হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এঘটনায় পিতা বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আহতদেরকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাচড়া ইউনয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আবুল কালাম (৭০)। তার ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৩৭) তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। সে সময় ঢাকায় ব্যবসা করার জন্য পিতার নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা হওলাত নেয়। পরবর্তীতে পিতা তার টাকা ফেরত চাইলে ছেলে রিয়াজ বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। পাওনা টাকা ও জমিজমা নিয়ে পিতা-পুত্রের মধ্যে বিরোধ চলছিলো আগে থেকেই। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বিচার হওয়ার পরও বিভিন্ন সময় ছেলে পিতাকে হুমকি-ধামকি প্রদান করতেন। কিছুদিন পূর্বে রিয়াজ তার পরিবারসহ ঢাকা থেকে এসে পিতা আবুল কালামের বসত ঘর দখলের চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় রিয়াজের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসন্ত্র নিয়া আবুল কালামকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলা জখম হয় এবং বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। পরে তার ডাকচিৎকার শুনে তার স্ত্রীসহ অন্যরা আগাইয়া আসলে স্ত্রীর পরনের কাপড় টানাহেচড়ার মাধ্যমে শ্লিলতাহানি করে এবং তার গলায় থাকা ৮ আনা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, আবুল কালাম (৭০) ও তার স্ত্রী রওশনা বেগম (৬০)। এঘটনায় আহত আবুল কালাম বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২/৩জনকে আসামী করে তজুমদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন (৩৭), ছেলে বউ মোসা. বিবি লতিফা (৩৫), নাতি মো. আরিফ হোসেন (১৯), কালামের চাচাতো ভাই মো. কুট্টি মিয়া।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, মারামারির ঘটনায় এক পক্ষ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৯:৪৮ ১৪৯ বার পঠিত