নিষেধাজ্ঞার ৬ দিনেও দেওয়া হয়নি চাল, অনিশ্চয়তায় ভোলার ৭০ হাজার জেলে

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » নিষেধাজ্ঞার ৬ দিনেও দেওয়া হয়নি চাল, অনিশ্চয়তায় ভোলার ৭০ হাজার জেলে
সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩



ছোটন সাহা ॥
ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলে পুনর্বাসনের চাল পাননি ভোলার বেশিরভাগ জেলে। এতে অভাব-অনটন ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে বেকার জেলেদের। দেনা আর মহাজনের দাদনের দায় মাথায় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
সংকট দূর করতে ইলিশ নিষেধাজ্ঞা সময়ের মধ্যেই সরকারি চাল পেতে চান তারা। তবে মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন খুব দ্রুত এ চাল বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ হবে।
এদিকে নিবন্ধিত হয়েও ৭০ হাজার জেলের ভাগ্যে জুটবে না চাল। এতে ক্ষোভ আর অসন্তোষ বাড়ছে ওই সব জেলেদের।

---

ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ। আর তাই, বেকার জেলেদের চলছে দুর্দিন। আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম সংকটে পড়েছেন তারা।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে যেতে না পারায় একদিকে সংসারের চিন্তা, অন্যদিকে এনজিও আর মহাজনের ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা। এমন বাস্তবতায় জেলেদের জন্য ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তা পৌঁছায়নি পাঁচ দিনেও। এতে চরম জীবিকা সংকটে পড়েছেন জেলেরা।
ভোলা সদরের তুলাতলী, ইলিশা, ধনিয়া ও ভোলার খালসহ বেশ কয়েকটি ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার সময় পার করছেন জেলেরা। কেউ জাল বুনছেন, কেউবা নৌকা মেরামত করে সময় পার করছেন।
হারুন নামের এক জেলে বলেন, পাঁচ দিন হয়ে গেছে এখনও চাল পাইনি, কবে পাবো তাও জানিনা।
এনজিও থেকে কিস্তি নিয়ে সংকটে পড়েছেন রহমান, শাফিজল ও লোকমান মাঝি। তারা বলেন, নদীতে যাই না, উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কিভাবে সংসার চালাব আর কিভাবে কিস্তি দিব?
এমন সংকট শুধু তাদের নয়, একই অবস্থা বেশিরভাগ জেলের। এমন অবস্থায় তারা দ্রুত চাল পাওয়ার দাবি করেছেন।
জেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার সাত উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার। এদের মধ্যে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ হয়েছে ৮৯ হাজার জেলের নামে। যে কারণে প্রায় ৭০ হাজার জেলে সরকারি চাল থেকে বঞ্চিত হবে।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, খুব দ্রুত জাল বিতরণ করা হবে। এরমধ্যে কিছু কিছু ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাকি জেলেরাও চাল পেয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, ইলিশ নিষেধাজ্ঞার এ মাসে যাতে এনজিওগুলো জেলেদের কাছ থেকে কিস্তি না তোলে সে জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ধনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাত হোসেন কবির বলেন, আমরা চাল পেয়েছি, আগামী দুই দিনের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে।
নিবন্ধিত সব জেলেকে চাল দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ভোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিষয়টি মৎস্যবিভাগকে বলা হয়েছে। যাতে নিবন্ধিত সব জেলে চাল পান।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৭:৫৭   ২৫২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ভোলায় ওমানিয়ান টুপি সেলাই প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট বিতরন
ভোলায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তাদের মেলা অনুষ্ঠিত
ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
চরফ্যাশনে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী
বোরহানউদ্দিনে ফুটপাতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা
পথে পথে চাঁদাবাজি, ভোলার তরমুজচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে
ভোলায় ব্যবসায়িক অগ্রগতি পর্যালোচনা সম্মেলনে রূপালী ব্যাংক পিএলসিকে সর্ব শীর্ষে নিয়ে যাবার অঙ্গীকার
ভেজাল মসলা তৈরি: ভোলায় ২ কারখানাকে জরিমানা
ভোলায় বেড়েছে আলু ও কাঁচা মরিচের দাম
ভোলায় নারী উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল



আর্কাইভ