স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার শিবপুর ইউনিয়নে জমির পিলার উঠিয়ে ফেলার সময় বাঁধা দেওয়ায় গৃহবধুকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। আহত গৃহবধু সাহিদা বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে সদরের শিবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোস্তফা মেম্বার বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
আহত সূত্রে জানা গেছে, আল আমিন ২০ বছর পূর্বে শিবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোস্তফা মেম্বার বাড়ীতে জমি ক্রয় করে ঘর নির্মান করে বসবাস করছেন। গত কয়েক বছর ধরে স্থানী হারুন গংরা ওই জমি তাদের দাবী করে আল আমিনকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে আসছে। বিভিন্ন সময় ওই জমি জোরপূর্বক দখলের জন্য পায়তারা চালায় হারুন গংরা। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) হারুন, মিজান মেম্বার, রুবেল, সাত্তার, রিপনসহ একটি বাহিনী লাঠিসোটা নিয়ে আল আমিনের সীমানার পিলার উঠিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় আল আমিনের স্ত্রী সাহিদা বেগম বাঁধা দেয়। এসময় হারুন বাহিনী সাহিদাকে তাড়া করলে সাহিদা দৌড়ে গিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করে। হারুন ও তার লোকজন ঘরে প্রবেশ করে সাহিদা বেগমকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে। হারুন বাহিনীর হামলায় সাহিদা গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পরে। এসময় হারুন ও তার লোকজন সাহিদার সাথে থাকা স্বর্ণালংকার, ঘরে থাকা নগদ টাকা ও দামী মামলা লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে লোকজন সাহিদাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত সাহিদা বেগম বলেন, হারুন বাহিনী আমাদের জমি দখল করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। হারুন গংরা আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমরা যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারি সে জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হারুন বলেন, ওই জমি আমাদের। আমরা তাদেরকে পিলার উঠিয়ে ফেলতে বলি। পিলার উঠানোর কথা বলায় সাহিদা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। কিন্তু আমরা তাকে কোন মারধর করিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৭:৩৩ ২১০ বার পঠিত