দৌলতখান প্রতিনিধি ॥
ভোলার দৌলতখানে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গৃহবধূর নাম সুরমা বেগম। সে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ বেপারী বাড়ির ফজলু বেপারীর ছেলে জুয়েলের স্ত্রী।

জানা যায়, ২০১২ সালে চরখলিফা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মহাম্মদ বেপারী বাড়ির ফজলু বেপারীর ছেলে জুয়েলের সাথে একই ইউনিয়নের মুছলেউদ্দিনের মেয়ে সুরমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক বছর তাদের দা¤পত্য জীবন ভালোই কাটছিলো। এরই মধ্যে তাদের সংসারে একটি সন্তান জন্ম নেওয়ার পর মারা যায়। এরপর আর সন্তান হয়নি। পরে তাকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে জুয়েল। হাসপাতালে ভর্তি গৃহবধূ সুরমা বেগম জানায়, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে নানা অযুহাতে তাঁকে মারধর করা হতো স্বামী জুয়েল।
দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে সে কিছুই জানতো না। বিষযটি প্রকাশ্যে আসলে এনিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব আরো বেড়ে যায়। ব্যবসার সুবাদে জুয়েল দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে ঠিকমতো সংসারের ভরন পোষণের খরচও পাঠাতো না। একারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। শ্বশুর-শাশুড়িও তার সাথে ভাল ব্যবহার করছে না। তবুও স্বামীর সংসারে টিকে থাকতে চাইছে সে। ইতোমধ্যে কয়েকবার তাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয় স্বামী। সে আরো জানায়, কয়েকদিন আগে জুয়েল ঢাকা থেকে বাড়ি এসে তাকে সংসার ছেড়ে চলে যেতে বলে। গত বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী তাকে বাপের বাড়ি চলে যেতে বললে, যেতে না চাইলে তাকে মারধর করে। এতে সে আহত গুরুতর হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২২:৫৯ ২৯৩ বার পঠিত