ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ ॥ গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু, পুলিশসহ আহত শতাধিক

প্রচ্ছদ » অপরাধ » ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ ॥ গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু, পুলিশসহ আহত শতাধিক
সোমবার, ১ আগস্ট ২০২২



স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মারা গেছে। পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী। বিদ্যুতের লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ ১১জনকে আটক করেছে।

---

কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রবিবার সকাল থেকে বিএনপি কার্যালয়ে এসে ঝড় হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি যখন বিক্ষোভ মিছিল বের করতে উদ্যত হয় তখন পুলিশ বাঁধা দেয়। বাঁধা উপেক্ষা করে বিএনপি মিছিল বের করতে গেলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবী, পুলিশ বিনা কারণে বিএনপির মিছিলে হামলা করে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহীম মারা যায়। আহত হয় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী। এর মধ্যে জেলা ছাত্রদল সভাপতি গুরুতর আহত নুরে আলমসহ ৬জনকে উন্নত চিকিৎসার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ নুরে আলম, মোঃ লিটন, মোঃ হারুন, মোঃ সেন্টু, মোঃ সালাহউদ্দিন, মোঃ আল আমিন, মোঃ রাজিব, মোঃ মহসিন, আকতার, লিটন, রাকিব, নিকসন, জিএম সানাউল্লাহ, রাসেল, ওহিদসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩০জন গুলিবিদ্ধ বলে দাবী করেন জেলা বিএনপির সভাপতি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার বলেন, সমাবেশ শান্তিপূর্ণই ছিলো। কিন্তু সমাবেশ শেষে মিছিল করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে পড়ে। পুলিশের উপর হামলা করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল নিক্ষেপ শেষে গুলি চালায়। এতে ১০জন পুলিশ এবং বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আহত হয়। একজন মারাও যায়। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে ভোলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিএনপি সভাপতির বাড়ীসহ মহাজনপট্টি ও কালিনাথ বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোলা সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি ডাক্তার নাফিজা তাসলিম ঐশি বলেন, আমাদের এখানে যেসব রোগী ভর্তি হয়েছে, তাদের অধিকাংশ রোগীই গুলিবিদ্ধ। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। আরও কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে বরিশালে রেফার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৫:৪৭   ৪৪৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


নেয়ামতপুর চরে ভূমি মালিকদের উপর ভূমিদস্যুদের হামলা ॥ গুরুতর আহত ২৫
চরফ্যাশনে অন্যের জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাসেলের বিরুদ্ধে
বাপ্তায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে এতিম সন্তানের উপর হামলা
‘টাকা পেলেই ভাতা করার দায়িত্ব নেন দফাদার’
চরফ্যাসনে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ভোলায় ১ হাজার পিচ ইয়াবাসহ আটক ১
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ॥ আহত-৩০
ভোলায় অন্যের ভোগদখলীয় জমির গাছ কেটে দখলের চেষ্টা
পুলিশ চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা, অবশেষে আটক
তারা কখনো জিন বাবা- কুফরি বাবা, আবার কখনো কালী বাবা



আর্কাইভ