আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
ভোলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মারা গেছে। পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী। এ ঘটনায় পুলিশ ১১জনকে আটক করেছে।
এই ঘটনায় ভোলা জেলা বিএনপি তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন ডাকে। দুপুর ২টায় জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে ঘটনা তুলে ধরেন এবং ভোলার আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। গোলাম নবী আলমগীর বলেন, তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিং এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আমরা রবিবার সকালে ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করি। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে বিএনপি অফিসের সামনেই রাস্তার উপর পুলিশ বাঁধা সৃষ্টি করে। পুলিশ বিনা কারণে ভোলা বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা করেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে গুলি, টিআর সেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহীম মারা যায়। হামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিতসার জন্য বরিশাল ও ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই এ ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি চায় না। পুলিশ নিজেরাই পরিস্থিতি ঘোলা করছে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি চান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এবিএম মোশারেফ হোসেন পুলিশের বিরুদ্ধে নির্মম আচরণের অভিযোগ তুলে আগামী দিনে আন্দোলনের মধ্যে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী করেন। এবিএম মোশারেফ বলেন, শুধু ভোলা নয় সারাদেশেই কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। অথচ পুলিশ ভোলায় পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফেলেছে। আমরা এখন ভোলায় নিরাপত্তহীনতায় আছি। আগামীতে আন্দোলন কর্মসূচীর মধ্য দিয়েই এ ঘটনার জবাব দেবো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিনসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ০:০৪:৪৪ ২৬৫ বার পঠিত