চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
বঙ্গোপসাগরে ২১ জেলে নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ দিন পরে নিখোঁজ ২০ জেলের মধ্যে ৩ জেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই জেলেরা হলেন, চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিকান্দার বেপারীর ছেলে মো. সাহিন (২৭), আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের খালেক (৫০) ও চর মানিকা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হানিফ মুন্সির ছেলে হারুন (৩৬)।
শনিবার (১১ডিসেম্বর) দুপুরে সিকান্দার ওরফে সিডু মিয়ার কাছে তাঁর নিখোঁজ ছেলে সাহিন ফোন করে আবেগাপ্লুত কন্ঠে বলেন, “বাবা আমরা ৩জন বেঁচে আছি” অপর প্রান্তের বাবা মা আনন্দে আত্মহারা অবস্থায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সিকান্দার ওরফে সিডু মিয়া জানান, তাঁর নিখোঁজ ছেলে সাহিন ফোন করে জানান তাঁরা কক্সবাজারের একটি মাছ ধরার ট্রলারে রয়েছেন।
এবং তাদের ৩জনকে ট্রলার ডুবির ৩০ঘন্টা পরে ভাসমান অবস্থায় এমভি সাকিব নামের গভীর সমুদ্রগামী একটি মাছ ধরার ট্রলার উদ্ধার করে। এবং ৩জনই একই ট্রলারে সুস্থ্য রয়েছেন বলে সাহিন জানিয়েছেন।
ওই ট্রলারটি নেটওয়ার্কের বাইরে গভীর সাগরে অবস্থান করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ট্রলারের মাঝি গিয়াস উদ্দিন।
তিনি বলেন, দূর্ঘটনার পরের দিন বিকাল সাড়ে ৪টার সময় ৩ জেলেকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছি।
ট্রলারটির মাছ ধরা শেষ হলে জেলেদের পৌছানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান ট্রলারের মাঝি গিয়াস উদ্দিন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ জানান, যেহেতু ওই ৩জেলে পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছে তাহলে তাঁদের ফিরে আসার জন্য প্রশাসন সহযোগীতা করবে।
৩ জেলে উদ্ধারের খবর পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি জানান, বাকি ১৬ জেলেকে উদ্ধারে প্রশাসনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন।
গত ৫ ডিসেম্বর বঙ্গপোসাগরে মাছ ধরার একটি ট্রলারকে এফবি এসআরএল-৫ নামের চট্টগ্রামের একটি ট্রলিং জাহাজ ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ করেন ট্রলার মালিক। এসময় ওই ট্রলারটি ২১জন জেলে ও মাঝি মাল্লা নিয়ে সাগরে ডুবে যায়।
ট্রলার ডুবির পরদিন ট্রলার মালিকের ভাই জেলে হাফিজ উদ্দিনকে মহিপুরের একটি ট্রলার জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এঘটনায় হাফিজ উদ্দিন ওই জাহাজটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপজেলার দক্ষিন আইচা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং যার তদন্তে রয়েছে ভোলার মির্জাকালু নৌ-পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫০:২২ ৪৫৩ বার পঠিত