ছোটন সাহা ॥
ভোলায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৭ জন। ৮২টি  নমুনা পরীক্ষা করে এ রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হলো। এর ২৪ ঘন্টা আগে ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলো। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮ জন এবং কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯১ জন। জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২২২ জন। এদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছেন ৯৯৬ জন। রবিবার (৫ এপ্রিল) রাতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেলায় ফের বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন তার অধিক রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

শনাক্তের তুলনায় আক্রান্তের প্রায় ১২ শতাংশ। জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৭২৮টি। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন।
এদিকে করোনা সংক্রমরোধে প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতমধ্যে করোনা ইউনিটে ৭ জন ডাক্তার ও ১০জন নার্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সদরে ১০০টি শয্যাসহ সাত উপজেলায় আরো ৩০টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষধু ও অক্সিজেন সরবরাহ রয়েছে।
অন্যদিকে করোনারোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জেলা প্রশাসনের অভিযান চলছে। এসব অভিযানে মাস্ক ব্যবহার না করায় জরিমানা আদায় করার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারনা ও মাস্ক বিতরন করা হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আরো জানা গেছে, গত এক মাসে জেলায় ৫৭ হাজার জন করোনা টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেটশন করলেও টিকা গ্রহন করেছেন ৪২ হাজার ২ জন। এছাড়া জেলা থেকে ফেরত গেছে প্রায় ১৬ হাজার ডোস টিকা।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা: সৈয়দ রেজাউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনা সংক্রমরোধে কাজ করছে স্বাস্থ্যবিভাগ। আমাদের করোনা ইউনিট, ডাক্তার, নার্স, ওষুধ ও অশসি অকসিজেন প্রস্তুত রয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাাগের পক্ষ থেকেও প্রচার-প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে। ৮ এপ্রিল থেকে করোনার ২য় ডোস টিকাদান কর্মসূচী শুরু হবে বলেও জানান সিভিল সার্জন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪১:৫০   ৪৩০ বার পঠিত