স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার বাপ্তায় জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে বসতঘরে হামলা ভাংচুর, লুটপাট ও গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গত ১৬ মার্চ সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভোলার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে আসামীরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ বিল্লাল হোসেনের সাথে মোঃ হেলাল উদ্দিনের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিল্লাল হোসেনের ভোগদখলীয় জমিতে রোপন করা লাউগাছ হেলাল উদ্দিন উপড়ে ফেলে দেয়। জমির মালিক বিল্লালের স্ত্রী পারভীন বেগম দেখতে পেয়ে হেলাল উদ্দিনকে লাউ গাছ ফেলে দেওয়ার বিষয় জিজ্ঞাসা করেন। এসময় হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী ইসরাত বেগম গালমন্দ করে পারভীন বেগমের দিকে তেড়ে আসে। তাদের ভয়ে পারভীন বেগম দৌঁড়ে এসে বসতঘরে আশ্রয় নেয়। হেলাল উদ্দিন, ইসরাত বেগম সহ ৫/৬জনের একটি বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বিল্লাল হোসেনের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। তাদেরকে পারভীন বেগম বাঁধা দিতে আসলে হেলাল উদ্দিন বাহিনী পারভীনকে এলোপাথারী পিটিয়ে জখম করে। এসময় হেলাল উদ্দিন বাহিনী ঘরে থাকা দামী মালামাল, নগদ টাকা ও স্বর্ণাংলকার লুট করে নিয়ে যায়। পারভীন বেগমের আত্মচিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বিল্লাল হোসেন বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানান। এ ঘটনায় পারভীন বেগম বাদী হয়ে ভোলার আদালতে মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোসাঃ ইসরাত বেগমকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে হেলাল উদ্দিন বাহিনী বিল্লাল হোসেনকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ হেলাল উদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০:৩৩:৩৯ ৪৬৮ বার পঠিত